ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডে বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং

প্রকাশিত: ১১:৪৩, ২৭ জুন ২০১৯

  নিউজিল্যান্ডে বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভেজা আউটফিল্ড। মেঘলা আকাশ। খেলায় এক ঘণ্টার বিলম্ব। বার্মিংহ্যামে টস জিতে কেন উইলিয়ামসন কেন যে ব্যাটিং নিলেন সেই আফসোস তিনি করতেই পারেন। বিশ্বকাপে বুধবার পাকিস্তানের বোলিং তোপে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩৭ রানে থেমে গেছে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। মাত্র ৮৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধংসস্তূপে পরিণত হওয়া কিউদের স্কোরটা শেষ পর্যন্ত ভদ্রস্থ রূপ পেয়েছে মূলত দুই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম (৯৭*) ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের (৬৪) দৃঢ়তায়। পাকিস্তানের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাত্র ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তরুণ এই বাঁ-হাতি পেসার। একটি করে শিকার মোহাম্মদ আমির ও লেগস্পিনার শাদাব খানের। উইকেট না পেলেও ৭ ওভারে মাত্র ২২ রান দেয়া মোহাম্মদ হাফিজও ছিলেন দুর্দান্ত। ম্যাচের ফল যাই হোক আসরে আগের ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে উড়তে থাকা কিউইদের জন্য স্কোরবোর্ডে এত অল্প রান যেমন হতাশার তেমনি বোলিংয়ে পাকিদের নৈপুণ্যও আশাজাগানিয়া। এজবাস্টনে এদিন টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই চাপের মুখে পড়ে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারে কিছুটা চমক ছিল। অফস্পিনার মোহাম্মদ হাফিজকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। তবে সেই ওভারটা বেশ দেখে শুনেই কাটিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরো। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে আসেন আসরের অন্যতম সফল বোলার মোহাম্মদ আমির। প্রথম বলেই উইকেট। আমিরের অফসাইডের বলটি শরীরের বাইরে থেকে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্ট্যাম্পে টেনে আনেন গাপটিল, মাত্র ৫ রান করেই বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কিউই ওপেনার। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া নিউজিল্যান্ড ধীর ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করে। কিন্তু সপ্তম ওভারে এসে তারা হারিয়ে বসে আরেক ওপেনার মুনরোকেও। ১২ রান করে শাহীন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। নিজের পরের ওভারে আবারও আঘাত শাহিন আফ্রিদির। এবার তিনি পরাস্ত করেন কিউই ব্যাটিংস্তম্ভ রস টেইলরকে (৩)। উইকেটের পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন সরফরাজ। ১৩তম ওভারে আরও এক উইকেট শাহিন আফ্রিদির। এবার তার দুর্দান্ত ডেলিভারিটি কিছু বোঝার আগেই টম লাথামের (১) ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় সরফরাজের হাতে। ৪৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে কিউইরা। পঞ্চম উইকেটে চাপ কিছুটা সামলে ওঠেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন আর অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। ৩৭ রানের এই জুটি ভাঙ্গেন শাদাব খান। তার ঘূর্ণিতে ৪১ রানের মাথায় উইকেটরক্ষক সরফরাজের ক্যাচ হন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ২৭তম ওভারে টপঅর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে নিশাম আর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের দুর্দান্ত প্রতিরোধ। তাদের ১৩২ রানের বড় জুটিতে ভর করেই বিপদ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াকু পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। ৭১ বলে ৬৪ রানের চমৎকবার দৃঢ়তাপূর্ণ ইনিংসটি খেলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউটের কবলে পড়েন ডি গ্র্যান্ডহোম। তবে নিশাম শেষ পর্যন্ত আউট হননি। যদিও একটুর জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটা পাননি। ১১২ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৯৭ রানে অপরাজিত থাকেন নিশাম। পাক বোলিংয়ে দিশেহারা কিউইরাও পায় সম্মানজনক সংগ্রহ।
×