ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাচ্ছে ২৭১ অসহায় পরিবার

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ২৭ জুন ২০১৯

 শেরপুরে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাচ্ছে ২৭১ অসহায় পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘জমি আছে ঘর নেই’ বিশেষ প্রকল্পের আওতায় শেরপুরে দুর্যোগ সহনীয় ঘর পাচ্ছে ২৭১ অসহায় পরিবার। ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ওই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ঘরগুলো সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। জানা যায়, চলতি অর্থবছরের আওতায় এপ্রিল মাসে শেরপুর জেলায় ২৭১টি পরিবারের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণে প্রতিটি ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা হারে মোট ৭ কোটি ৬১ হাজার ৯০১ টাকা বরাদ্দ দেয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়। ওই বরাদ্দের আওতায় শেরপুর সদর উপজেলায় ৬৬টি ঘরের বিপরীতে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪৬ লাখ টাকা, নকলায় ৫৫টি ঘরের বিপরীতে ১ কোটি ৪২ লাখ ১৯ হাজার ২০৫ টাকা নালিতাবাড়ীতে ৪৯টি ঘরের বিপরীতে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮১৯ টাকা, শ্রীবরদীতে ৫৮টি ঘরের বিপরীতে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭৯৮ টাকা ও ঝিনাইগাতীতে ৪৩টি ঘরের বিপরীতে ১ কোটি ১১ লাখ ১৬ হাজার ৮৩৩ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। ওই বরাদ্দমূলে স্ব-স্ব এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে ওই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করছেন। চলতি মাসেই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এএইচএম আব্দুর রউফ জানান, পৌর এলাকাগুলোর বাইরে ৫টি উপজেলার ৫২টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ওই দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মিত হচ্ছে। হতদরিদ্র, নদী তীরবর্তী বিশেষ করে যাদের জমি আছে ঘর নেই তারা ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পেয়েছেন। টিনশেড হাফবিল্ডিং ওই ঘরে থাকছে ১০ ফুট বাই ১০ ফুটের ২টি কক্ষ, ৬ ফুট বাই ৭ ফুটের একটি রান্নাঘর ও ৬ ফুট বাই ৬ ফুটের একটি বাথরুম। রুমগুলোতে থাকবে কাঠের ৫টি দরজা ও ৬টি জানালা। স্ব-স্ব উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনও ওই বিশেষ প্রকল্পের তদারকি করছেন। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ঘরগুলো সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হবে। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মাহমুদ হাসান ও জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সদর উপজেলার কয়েকটি নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সেইসাথে ঘরগুলো প্রদানে সঠিক লোকদের বাছাই করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিভাগীয় কমিশনার। অন্যদিকে প্রকল্প কমিটি সূত্র জানিয়েছে, রান্নাঘর ও বাথরুমের দুটি কক্ষসহ থাকার ২ কক্ষের ওই টিনশেড হাফ বিল্ডিং নির্মাণে কমপক্ষে ৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হলেও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কম। তাই প্রকল্প কাজ শেষ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব জানান, ‘জমি আছে ঘর নেই’ এমন হতদরিদ্রদের বাছাইয়ে যেমন শতভাগ সতকর্তা অবলম্বন করা হয়েছে, তেমনি ঘর নির্মাণেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ঘরগুলো সুবিধাভোগীদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর এর মধ্যে দিয়ে তারা শান্তিতে মাথা গুঁজার ঠাই পাবে।
×