ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও করে ও দেখিয়ে মাদেরও ধর্ষণসহ টাকা নিয়েছেন শিক্ষক

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২৭ জুন ২০১৯

 ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও করে ও দেখিয়ে মাদেরও ধর্ষণসহ টাকা নিয়েছেন শিক্ষক

অনলাইন রিপোর্টার ॥ তিন-চার বছর ধরে পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে কৌশলে ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক এবং এর ভিডিওচিত্র ধারণ করে সেটি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদের মাদের সঙ্গেও একইভাবে যৌনাচার এবং মোটা অংকের অর্থ আদায় করেছেন একটি স্কুলের এক শিক্ষক। এ ঘটনায় নারায়ণঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় অক্সফোর্ড হাইস্কুলের আশরাফুল আরিফ নামের ওই শিক্ষককে আটক করেছে র্যাব। একইসঙ্গে ওই শিক্ষককে মদদ দেওয়ার অপরাধে প্রধান শিক্ষককেও আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব স্কুলটিতে অভিযান চালিয়ে দুই শিক্ষককে আটক করে। এসময় তাদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন স্কুলটির শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ স্থানীয় এলাকাবাসী। জানা যায়, মিজমিজি এলাকার অক্সফোর্ড হাইস্কুলের শিক্ষক আশরাফুল আরিফ প্রায় তিন-চার বছর ধরে পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে দশম শ্রেণির বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে নানাভাবে প্রতারণা করে আসছেন। নানা কৌশলে ওই ছাত্রীদের ফাঁদে ফেলে তিনি শারীরিক সম্পর্ক করে এর ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। এরপর সেটি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদের মাদের সঙ্গেও একইভাবে যৌনাচার এবং মোটা অংকের অর্থ আদায় করেন। গত কয়েকদিন ধরে এ বিষয়টি স্কুলে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে তারা স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আশরাফুল আরিফের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের ছবি দেখে তাকে গণপটিুনি দেন। খবর পেয়ে র্যাব ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকেও আটক করে। এলাকাবাসীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও স্কুলটি বন্ধ করে দেওয়াসহ অভিযুক্তদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আপেল উদ্দিন জানান, আটককৃত শিক্ষক আশরাফুল আরিফের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে মদদ দেওয়ার অভিযোগে প্রধান শিক্ষককেও আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে র্যাব জানায়।
×