স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর-মাগুরা সড়কের কোদালিয়া বাজারের পাশে দীর্ঘদিন যাবত নির্মাণ সামগ্রী রাখায় ধুলো বালিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর ধুলাবালি আর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, মিক্সার মেশিনের বিকট শব্দ এবং বিটুমিনের তীব্র গন্ধে ক্লাস করা কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে পাশের কোদালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
আজ বৃহস্পতিবার ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা যশোর-মাগুরা সড়ক অবরোধ করে। এছাড়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত এই কালো ধোঁয়ায় বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও মসজিদের মুলল্লিরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যার কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং অভিভাবকেরা তাদের স্কুলে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ও স্কুলের শিক্ষকেরা বারবার তাগিদ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি আব্দুর সাত্তার নামে ওই ঠিকাদার। তাই বাধ্য হয়ে বাজারের ব্যবসায়ী, এলাকার সচেতন মানুষ ও শিক্ষার্থীরা যশোর-মাগুরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। ফলে এই রুটের দু’দিক থেকে ছেড়ে আসা বাস, ট্র্রাক, পরিবহনসহ ছোট বড় প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। রাস্তার দুই পাশে প্রায় ৬ কিলোমিটারের মত লম্বা লাইনের যানজটের সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও লেবুতলা ইউপি চেয়ারম্যান আলিমুজ্জামান মিলন ছুটে আসেন। তার আশ্বাসে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা আক্তার বলেন, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিনশ শিক্ষার্থী রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে। ২ শিফ্টে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ক্লাস চলে। নির্মাণ সামগ্রীর বিষাক্ত এ কালো ধোঁয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে তেমন মনোযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট এবং অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন বলেন, প্রতি সপ্তাহে দুই দিন এ বাজারে সবজি ও গরুর হাট বসে। বাতাসে ক্ষতিকর এ কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় হাটে বেচাকেনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
লেবুতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, নিয়মানুযায়ী জনশূন্য এলাকায় এ সকল কাজকর্ম করার কথা। কিন্তু বাজার ও মসজিদের পাশেই এ কাজকর্ম করায় মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে অসুবিধা হচ্ছে। ধুলাবালি ও বিটুমিনের কালো ধোঁয়ায় এখানকার পরিবেশ এখন হুমকির মুখে। যে কারণে তারা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান না হলে তারা কঠোর আন্দোলনে যাবে।
