অনলাইন রিপোর্টার ॥ তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাজল জানান, আজ দুদকের পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের নেতা শেখ মো. ফানাফিল্লাহ ডিআইজি মিজানুর রহমানকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আগামী ১৫ জুলাই ডিআইজি মিজানুর রহমানকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
আদালতের সেরেস্তাদার মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, আদালত আদেশের অনুলিপি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার বরাবর পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২ জুলাই ডিআইজি মিজানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ ইমরুল কায়েস। এর পরে তাঁর ভাগ্নে বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১ জুলাই ডিআইজি মিজান হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে তাঁর আবেদন নাকচ করে সঙ্গে সঙ্গে কাস্টডিতে (হেফাজতে) নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। পরে পুলিশ তাঁকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এ ছাড়া তাঁর ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আগাম জামিন আবেদন করেন মিজানুর রহমান। তাঁর পক্ষে আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
গত ১৯ জুন মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত। নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছিল দুদক। কিন্তু এই তদন্ত করতে গিয়ে দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন মিজানুর রহমান। গণমাধ্যমে বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পরই এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যদিও পরিচালক এনামুল বারবার দাবি করেন, রেকর্ড করা বক্তব্যে তাঁর কণ্ঠ নকল করা হয়েছে। পরে এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পৃথক অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: