ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জবিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন ও সম্প্রীতির জন্য কনসার্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১০ জুলাই ২০১৯

জবিতে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন ও সম্প্রীতির জন্য কনসার্ট

জবি সংবাদদাতা ॥ “আর নয় ধর্ষন সমাজ হোক পরিবর্তন”এই স্লোগানকে সামনে রেখে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ডের দাবিতে কয়েকদফা মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তচত্বরে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এদিকে ধর্মীয় সম্প্রীতি স্থাপন, সাম্প্রদায়িকতা ও জাতিগত নিপীড়ন বিরোধী কনসার্ট করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্রসংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াল দাস অনুপ বলেন, “সারাদেশে চলমান ধর্ষণে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে। আর এসব ধর্ষকদেও মদদদাতা রাজনৈতিক রাঘববোয়ালদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।” ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রথম শিক্ষার্থী সিথি আক্তার বলেন, “সামিয়া হত্যাসহ সারাদেশে প্রতিনিয়ত শিশুদের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব নির্মম হত্যাকান্ডের বিচার চাই এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা চাই।” এরপর মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। এদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশিদের বেশ কয়েকটি গ্রুপ প্যানেল ভিত্তিক কয়েক দফা মানববন্ধন করে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দুটি গ্রুপ একসাথে মানবন্ধনে দাঁড়াতে গেলে দুপক্ষের কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হাতাহাতি পর্যায়ে চলে যায়। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জবিতে সম্প্রীতির জন্য কনসার্ট ধর্মীয় সম্প্রীতি স্থাপন, সাম্প্রদায়িকতা ও জাতিগত নিপীড়ন বিরোধী কনসার্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভাস্কর্য চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বেলা ১২.৩০টায় শুরু হওয়া এই কনসার্টের আয়োজন করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। কনসার্টে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৌমিতা চক্রবর্তী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সংগঠক সুষ্মিতা রায় সুপ্তি এবং বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কর্র্তৃক গড়ে তোলা ব্যান্ড দল- মনের মানুষ, আবোল-তাবোল, অভিকর্ষ এবং দি ট্র্যাভেলার্স। শিল্পীরা তাদের একক এবং সমবেত গানের মধ্যদিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়গত সকল পরিচয়ের উর্ধ্বে সমগ্র মানব সমাজ এবং মানবতার শ্রেষ্ঠত্বকে উদ্ভাসিত করে তোলেন। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ রায়ের সঞ্চালনায় কনসার্টে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি প্রসেনজিৎ সরকার এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাসুদ রানা। মাসুদ রানা তার বক্তব্যে বলেন, দেশে দেশে শাসক ও শোষক শ্রেণী তাদের অন্যায় স্বার্থ হাসিল করার লক্ষ্যে মানুষে মানুষে জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়গত বিভেদ ও দাঙ্গা বাঁধিয়ে রাখে; রক্তপাত ঘটায়। দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে আজ এদের বিরুদ্ধে সংগঠিত হতে হবে। এক্ষেত্রে যেকোন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ- বিশ^বিদ্যালয়সমূহের দায় রয়েছে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করার।” জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই মহান দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
×