ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যাকে তাকে আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নয় ॥ ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ১১ জুলাই ২০১৯

যাকে তাকে আওয়ামী লীগের সদস্যপদ নয় ॥ ওবায়দুল কাদের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ সামনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ। মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, দলের জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচি। আপনাদের অনেক কর্মমুখী সময় অতিবাহিত করতে হবে। মনে রাখতে হবে যাকে তাকে আওয়ামী লীগের সদস্যপদ দিতে পারবো না। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। প্রতিপক্ষকে দৃশ্যমান দুর্বল মনে হলেও তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশে-বিদেশে নানা চক্রান্ত করছে। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করছি এজন্য তাদের গায়ে জ্বালা ধরেছে। তাই অপপ্রচার চালাচ্ছে পদ্মা সেতুতে লাখো মানুষের মাথা, রক্ত লাগবে। ‘এরকম উদ্ভট তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। কল্লা লাগবে, রক্ত দরকার, এ সমস্ত অপপ্রচার তারা করছে। এদের রাজনীতি কী নির্মম, কী নিষ্ঠুর। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে এখন শুরু করেছে অপপ্রাপচার। অপপ্রচার ছাড়া এদের কোনো পুঁজি নেই। এই অপপ্রচারে বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার হতে হবে।’ কাদের বলেন, সর্বমুখী সাইবার অ্যাটাক হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, জবাব দিতে হবে। গত নির্বাচনে আমরা সাইবার অ্যাটাক মোকাবিলা করতে পেরেছিলাম বলে বিজয়ী হয়েছি। শ্রীলংকায় তামিল টাইগারদের নির্মূল করার পর সেখানে আর কোনো সমস্যা নেই মনে করা হলেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত নির্বাচনে সাইবার অ্যাটাক করতে না পারায় শন্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। ‘আজকের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থা সব সময় এক থাকবে, এমন মনে করার কিছু নেই। নীরবতার মধ্যে হলি আর্টিজান ঘটবে না, একথা মনে করার কিছু নেই। সতর্ক থাকতে হবে। আপনারা সতর্ক থাকবেন। সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবেন।’ এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ জেলে বন্দি করেনি। দুর্নীতির দায়ে আইনের মাধ্যমে আদালত তাকে কারাবন্দি করেছে। সরকার তাকে কারাগার থেকে বের করতে পারবে না। বিচার বিভাগ স্বাধীন, সরকার বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ করবে না, আজ পর্যন্ত সরকার করেওনি। ‘আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। বিএনপির যদি সাহস থাকে খালেদা জিয়াকে বের করার জন্য আন্দোলন করুক। দেখি না তাদের কত ক্ষমতা, কত হিম্মত আছে আন্দোলন করে জেল থেকে খালেদা জিয়াকে বের করতে পারে। তারা শুধু হাঁক-ডাক দেয়। বাস্তবে তারা কোনো আন্দোলন আজ পর্যন্ত করতে পারেনি।’ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বরেন, দলের শৃঙ্খলার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। শৃঙ্খলা ছাড়া দলের গতিশীলতা বাড়বে না, দলের কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হবে। ‘নির্বাচনের সময় জোয়ারে অনেকেই আওয়ামী লীগ ও নৌকার পক্ষে কাজ করেছে, মিছিল করেছে, সমর্থন দিয়েছে। সবাইকে আমরা অ্যাকোমোডেড করতে পারবে কিনা সেটা ভাবতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো। আমাদের কোয়ালিটির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। দূষিত রক্তের কোনো প্রয়োজন নেই। দূষিত রক্ত দূর করতে চাই। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।.
×