ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১১ জুলাই ২০১৯

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ ভারী বর্ষনের সঙ্গে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নীলফামারীর ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ মিটার। এতে নদীর আশপাশের নি¤œমাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। তিস্তার বন্যা সামাল দিতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ টি জলকপাট খুলে রাখা রয়েছে। অপর দিকে টানা বৃষ্টিতে জেলা জুড়ে কর্মজীবী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের বন্যা পূর্বাভাস সর্তকীকরণ কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা নূরুল হক জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সকাল ৯টায় ২ সেন্টিমিটার পানি কমে এলেও দুপুর ১২টায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে তিস্তা নদীর অববাহিকার ডিমলা উপজেলার ঝাড়শিঙ্গেশ্বর, কিসামত ছাতনাইনচর,বাইশপুকুর, ছোটখাতা, ছাতুনামার চর, ভেন্ডাবাড়ির চর, ফরেস্টের চর, পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, চরখড়িবাড়ি,বানপাড়া ছাড়াও আশপাশের নি¤œমাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া নীলফামারীর পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা, চরদহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সির্ন্দুনা, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার-পশ্চিম কাশিরাম, চর বৈরাতী, নোহালী, শৈলমারী, ভোটমারী, হাজিরহাট, আমিনগঞ্জ, কাঞ্চনশ্বরও রুদ্ধেশ্বর, আদিতমারী উপজেলার চন্ডিমারী, দক্ষিণ বালাপাড়া, আরাজি শালপাড়া, চরগোর্দ্ধন ও সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছা, রাজপুর, তিস্তা, তাজপুর, গোকুন্ডা, মোগলহাট, বনগ্রামসহ তিস্তা নদীর তীরবর্তী গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করে প্লাবিত করেছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে। তিস্ত নদীপারের আছির মাঝি ও হারুন মাঝি জানান, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে বুধবার রাত ১১টা থেকে নদীর পানি হুহু করে বাড়তে থাকে। সকালে কিছুটা কমলেও দুপুরের দিকে নদীর ঢল বৃদ্ধি পেয়ে ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এসময় নদীর আশেপাশের চর গ্রামগুলোতে বানের পানি ঢুকে প্লাবিত করছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোন্নাফ হাওলাদার জানান, উজানের ঢল ও বৃস্টিপাতের কারনে আমরা সর্তকাবস্থায় রয়েছি। আজ বৃহস্পতিবার তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
×