ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ১১ জুলাই ২০১৯

 পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে কি না তা যাচাইয়ে বাজার মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কোরবানি সামনে রেখে এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুন হয়ে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ পেঁয়াজের প্রধান উৎস ভারতে দাম বাড়ার তেমন কোন খবর নেই। এছাড়া দেশেও এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ কারণে অভ্যন্তরীর বাজারে পেঁয়াজের সঙ্কট হওয়ার কোন কারণ নেই। বৃহস্পতিবার নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় জরুরী বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের ব্যবসায়ীরা অংশ গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, নিত্যপণ্য বিশেষ করে পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া কেন পেঁয়াজের দাম বাড়ছে সে বিষয়টি যাচাইয়ে বাজার মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানি হয় ভারত থেকে। সেখানে কেজিতে ১-২ টাকা দাম বেড়েছে। ওই হিসেবে দেশেও এক থেকে দুই টাকা দাম বাড়ার কথা। কিন্তু ২৫ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকা হয় কিভাবে? বাণিজ্য সচিব বলেন, কারসাজি করে দাম বাড়ানোর কোন সুযোগ নেই। ভোক্তা স্বার্থে দেশে আইন-কানুন ও বিধিবিধান রয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেবে সরকার। এদিকে, সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ ৪৫-৫০, আমদানিকৃত ভারতীয়টি ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এই পেঁয়াজ ২৫-৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর কাপ্তান বাজার, কাওরান বাজার ও ফকিরাপুল বাজার ঘুরে দেখা যায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়ার কারণে খুচরায় দাম বেড়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজের সরবরাহ রয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, কোরবানির ঈদ সামনে রেখে কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। প্রতিবছর কোরবানির সময় কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়ে থাকে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বছরে ২৪ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। কোরবানির ঈদে বাড়তি আরও প্রায় দুই লাখ টনের চাহিদা তৈরি হয়। মোট চাহিদার প্রায় ১৭ লাখ টন দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি সাত লাখ টন ভারতসহ অন্যান্য উৎস আমদানি করে থাকে ব্যবসায়ীরা।
×