ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাধীনভাবে চলাচলের অনুমতি দিতে বেজিংয়ের প্রতি আহ্বান

উইঘুরদের সঙ্গে চীনের আচরণের নিন্দা জানিয়ে ২২ রাষ্ট্রদূতের চিঠি

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ১২ জুলাই ২০১৯

 উইঘুরদের সঙ্গে চীনের আচরণের নিন্দা জানিয়ে ২২ রাষ্ট্রদূতের চিঠি

জিনজিয়ানের পশ্চিমাঞ্চলে মুসলিম উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে চীন যে আচরণ করছে তার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের ২২টি দেশ। উইঘুরদের সঙ্গে চীনের আচরণের নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ মানবাধিকার কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়েছেন তারা। অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি ও জাপানসহ জাতিসংঘে ২২ দেশের রাষ্ট্রদূতরা যৌথভাবে এ চিঠি দেন। তাদের স্বাক্ষরিত চিঠিটি বুধবার জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট কোলি সেক ও মানবাধিকার হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেটের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের যৌথ স্বাক্ষরিত এই চিঠিকে বিরল ঐক্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। চীনের জিনজিয়ানের পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদের বেশিরভাগই সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের। মানবাধিকার গ্রুপগুলো এবং এর সাবেক বাসিন্দারা এটাকে নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেন। সেখানে মুসলিম উইঘুর এবং অন্যান্য সম্প্রদায়কে চীনের সংখ্যাগরিষ্ঠ হান সমাজের সঙ্গে একীভূত হওয়ার জন্য জোরপূর্বক চাপ দেয়া হচ্ছে। চিঠিতে ‘বিশ্বাসযোগ্য অযৌক্তিক অবৈধ আটক’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম উইঘুর ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক নজরদারি এবং চলাচলে সীমাবদ্ধতা আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে জিনজিয়ানে বসবাসরাত উইঘুর সম্প্রদায়, অন্যান্য মুসলিম ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে অযৌক্তিকভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় বন্দী করে রাখা বন্ধ এবং তাদের স্বাধীনভাবে চলাচলেল অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সুইজারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা এটিকে মানবাধিকার কাউন্সিলের আনুষ্ঠানিক চিঠি হিসেবে বিবেচনা করার অনুরোধ করেছেন। জেনেভায় কাউন্সিলের ৪১তম অধিবেশন শুক্রবার শেষ হচ্ছে। কোন দেশের রেকর্ডের সমালোচনা করতে কূটনীতিকরা সাধারণত ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার কাউন্সিলে খোলা চিঠি পাঠিয়ে থাকেন। কিন্তু জিনজিয়ানের ঘটনাকে গুরুত্ব দিতে এটাই সম্ভবত একমাত্র পথ। যদিও আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উড়িয়ে দেয়ার মতো যথেষ্ট সমর্থন চীনের রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এসব কেন্দ্রকে স্বেচ্ছাসেবী ‘কারিগরি শিক্ষা কেন্দ্র’ বলে বর্ণনা করেন চীনা কর্মকর্তারা। তারা বলেন, তুর্কী ভাষাভাষী উইঘুরদের এখানে চাকরির প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। বেজিং বলছে, ধর্মীয় চরমপন্থা, সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ থেকে জনগণকে দূরে রাখতে এসব কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।-গার্ডিয়ান
×