ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

অভিভাবকহীন দুই বোনের আকুতি

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ১২ জুলাই ২০১৯

 অভিভাবকহীন দুই  বোনের আকুতি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ তানিয়া ও নিহা তারা দুই বোন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অন্য দশজন মেয়ের মতো মা বাবার আদরযত্ন পেয়ে বড় হবে। পড়ালেখা করে সবকিছু চিনবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, মা বাবার দেখা নেই, অভিভাবকহীন দুই বোন গৃহকর্ত্রীর অমানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ঈদগাঁও পুলিশ ফাঁড়িতে। চকরিয়া পৌরসভার ফুলতলা গ্রামের এক গৃহকর্ত্রী তাদের সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছে। জানা গেছে, দুই বোন তানিয়া ও নিহার বাবা আবুল হাসেম সাগরপথে মালয়েশিয়া যাবার প্রক্কালে মারা গেছেন অনেক আগে। মা রাশিদা বেগমও অন্যত্র বিয়ে করেছে। সেই কারণে সমাজের অন্য দশজন শিশুর মতো তানিয়া নিহা নাগরিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। বঞ্চিত জন্মদাতা মা-বাবার আদর স্নেহ থেকে। দুই বোনকে কান্নাকাটি করা অবস্থায় ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডে পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ঈদগাঁও পুলিশ হেফাজতে দেয়। তাদের ভাষ্য মতে বাবা হাসেম সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে মারা গেছেন। মা রাশিদা বেগম নতুন বিয়ে করে অন্য স্বামীর ঘরে চলে গেছে। কিছুদিন আগে এক নিকট আত্মীয় হতভাগ্য দুই বোনকে ঈদগাঁওস্থ একটি ফ্ল্যাট বাসার ভাড়াটিয়া সেলিমের স্ত্রী রিনা আক্তারের কাছে গৃহপরিচারিকা হিসেবে রেখে যান। গৃহকর্তার ওই পরিচয় ছাড়া তারা অন্য কিছুই চিনে না। তানিয়া ও নিহার দাবি, গৃহকর্তার বাড়িতে থাকার সময় মহিলার (গৃহকত্রীর) নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বুধবার গোপনে পালিয়ে আসে তারা। ওই সময় ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডে কান্নাকাটি করা অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের নিরাপদে পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। তারা এখন পুলিশের হেফাজতে আছে। তারা পুলিশকে বলছে তাদের কোন আত্মীয় স্বজন নেই। আমাদের এতিম খানায় দিয়ে দেন, আমরা লেখাপড়া করব।
×