ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আস্থা ভোট দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

কর্নাটকে সরকার টিকিয়ে রাখতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় পেল কংগ্রেস জোট

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ১৩ জুলাই ২০১৯

 কর্নাটকে সরকার টিকিয়ে রাখতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় পেল কংগ্রেস জোট

ভারতের কর্নাটক রাজ্যে সরকার টিকিয়ে রাখতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় পেল কংগ্রেস-জেডিএস জোট। শুক্রবার ভারতের শীর্ষ আদালতের এক শুনানিতে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হয়। একই সময় পর্যন্ত কর্নাটকে শান্তি-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। -খবর এনডিটিভি অনলাইনের। মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজ্যটির বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে স্পীকারের কোনরকম মীমাংসা হয় কি না, তা দেখার অপেক্ষায় ভারতের রাজনৈতিক মহল। শুক্রবারের মধ্যে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয় বলে বৃহস্পতিবারই আদালতে জানিয়েছিলেন কর্নাটকের বিধানসভা স্পীকার কে আর রমেশ কুমার। ওই বিধায়করা আদৌ স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন, নাকি তাদের ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে বলে যুক্তি দিয়েছিলেন তিনি। তার সেই আবেদনের শুনানিতেই বিধায়কদের ইস্তফা সংক্রান্ত শুনানির দিন পিছিয়ে দেয় আদালত। সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রমেশ কুমারের সঙ্গে দেখা করতে যান ১৮ বিক্ষুব্ধ বিধায়কের মধ্যে ১০ জন। বেঙ্গালুরুতে তার কাছে নতুন করে ইস্তফাপত্র জমা দেন তারা। তারপর আবার ফিরে যান মুম্বইয়ের হোটেলে, গত এক সপ্তাহ ধরে যেখানে অবস্থান করছেন তারা। রমেশ কুমারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে শীর্ষ আদালতে একটি পিটিশনও দায়ের করেন ওই বিদ্রোহী বিধায়করা। তাতে দাবি করেন, ইস্তফা দিতে গেলে তাদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন রমেশ কুমার। রীতিমতো হুমকি দেন। এমনকি তাদের ইস্তফাপত্রের ওপরই বসে পড়েন তিনি। মঙ্গলবার তাদের সেই আবেদনটিরও শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। অপরদিকে চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যেই শুক্রবার থেকে কর্নাটক বিধানসভায় ১১ দিনব্যাপী বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী বলেন, ‘কয়েকজন বিধায়কের সিদ্ধান্তের জন্য এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে আস্থাভোটের আর্জি জানাচ্ছি আমি। স্পীকারের অনুমতি পেলে যেকোন মুহূর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারি।’ কোনরকম বাধা ছড়াই সুষ্ঠভাবে বিধানসভার অধিবেশন ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদী তিনি। তার দাবি, ‘বর্তমান সরকারকে গদিচ্যুত করার সব রকম প্রচেষ্টাই চলছে। কিন্তু কংগ্রেস-জেডিএস জোট যথেষ্ট মজবুত। আজকের অধিবেশন নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আমরা। রাজ্যের এই অচলাবস্থার জন্য শুরু থেকেই বিজেপিকে দায়ী করে এসেছে কংগ্রেস এবং জেডিএস। তাদের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনা-বেচার অভিযোগ তুলেছে এ জোট। এদিতে কর্নাটকের পর বুধবার গোয়ায় ১০ কংগ্রেস সমর্থকের গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এতে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে কংগ্রেস। গোয়ার ১৫ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ১০ জন বিজেপিতে যোগ দেন। গোয়াতে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। বিধানসভার ৪০ আসনের মধ্যে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছেন ১৭ বিধায়ক। আর কংগ্রেসের ছিল ১৫ জন। দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়ক বাবু কাভালেকর বলেন, কোন উন্নয়ন না হলে মানুষ পরের বার কেন সঙ্গে থাকবে? কংগ্রেস প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে না। সরকার গড়ার অনেক সুযোগ ছিল, কিন্তু বর্ষীয়ান নেতাদের মধ্যে ঐক্যের অভাব কখনই তা হতে দেবে না। তাই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। গত মাসে তেলেঙ্গাতেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল কংগ্রেসের। যেখানে ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলে যোগ দেয়।
×