ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইলোরা পারভীনের ‘সূচী-শৈলীতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রদর্শনী

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ১৩ জুলাই ২০১৯

 ইলোরা পারভীনের ‘সূচী-শৈলীতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রদর্শনী

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ নন্দিত সূচীশিল্পী ইলোরা পারভীন। দীর্ঘদিন ধরে নকশী কাঁথার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ছবি সূচী-শৈলীর মাধ্যমে অঙ্কন করে আসছেন। এবার তার এই শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে। বৃহস্পতিবার ইলোরা পারভীনের ‘সূচী-শৈলীতে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক তিনদিনব্যপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এদিন সন্ধ্যা ৬-৩০ মিনিটে দৃক গ্যালারির দ্বিতীয় তলায় এই প্রদর্শনী শুরু হয়। তিনদিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হচ্ছে আজ ১৩ জুলাই শনিবার। প্রদর্শনী চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত্রী ৮টা পর্যন্ত। প্রদর্শনী প্রসঙ্গে শিল্পী ইলোরা পারভীন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের রক্ত স্নাত দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার মাধ্যমে জাতি নেতৃত্বশূন্য শুধু হয়নি, দেশের আপামর মানুষ ব্যথিত হয়েছে, সর্বস্তরে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। সেই ১৯৭৫-এ আমি শিশু বয়সেও সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম। বড় হয়ে সেই রক্তক্ষরণের কালো অধ্যায়টি পর্যালোচনা করে আমিও চরম ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছি। নিজের ভিতরে উপলব্ধি করেছি কিছু একটা করার। সেই তাড়না থেকে ৩২ নাম্বারের সেই দিনটির কথা স্মরণ করেই আমি একটা চিত্র মনে মনে লালন করেছি এবং এক পর্যায়ে তা প্রকাশের তাগিদ অনুভব করি। লেখালেখি বা অঙ্কনে খুব একটা পারদর্শী না হলেও আমি ছিলাম সূচী-শৈলীতে দক্ষ। তাই বঙ্গবন্ধুকে দিয়েই আমার সূচীকর্মের শুরু। একটি বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর ছবি সূচী-শৈলীর মাধ্যমে অঙ্কন করে সর্বস্তরের প্রশংসা পাই। এই শিল্পের অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গে ইলোরা পারভীন বলেন, আমি শিল্পের আবহে বড় হয়েছি। শিল্পী সুলতান ছিলেন আমার বাবার বন্ধু। সেই সুবাদে উনার সহচার্য শুধু পাইনি, সেই মহান শিল্পীর শিল্পকর্মকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। শিল্পের জগতে প্রবেশে আমার জীবনে বাধা আসেনি। বড় ভাই এবং স্বামীর অনুপ্রেরণায় আমি বঙ্গবন্ধু, উনার পরিবারের সদস্য, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে নিহতদের অবয়বসহ মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, বিখ্যাত মনীষীদের ছবি সূচী-শৈলীর মাধ্যমে আঁকার চেষ্টা করেছি। আমার জানা মতে এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে যখন আমি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি তখন এই বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছি যে কোন দেশেই তাদের জাতীয় নেতাকে নিয়ে এই ধরনের শিল্পকর্ম সূচী-শৈলীর মাধ্যমে কেউ করেছে। বিষয়টি আমাকে গর্বিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি অঙ্কন করতে গিয়ে আপনার মধ্যে কি ধরনের বোধ সৃষ্টি হয়েছে বা আপনার উপলব্ধি কেমন, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকতে গিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকচক্র ব্যক্তি মুজিবুর রহমানকে হত্যা করলেও তার অবিনাশী সত্তাকে ধ্বংস করতে পারেনি। আমার শিল্পকর্মের অনুপ্রেরণাও জাতির পিতার অবিনাশী সত্তার প্রকাশ। প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি সবার কাছে আমার শিল্পকর্মের বিষয়টি উপস্থাপনের মাধ্যমে একটি ম্যাসেজ দিতে চাই বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ নেতৃত্বের মহিমার দিকটি। আমার শিল্পকর্ম আপনাদের ভাল লাগলে আমি আরও অনুপ্রাণিত হব। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে আমি আরও একটি বড় পরিসরে প্রদর্শনী করার ইচ্ছা রাখি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
×