ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শেরপুরে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি ৪০ গ্রামের মানুষ

প্রকাশিত: ০২:৫১, ১৩ জুলাই ২০১৯

শেরপুরে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি ৪০ গ্রামের মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলোর নিম্নাঞ্চলের কাঁচা ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, রোপা আমন ধানের বীজতলা, সবজি, পুকুরের মাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। সেইসাথে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওইসব গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। জানা যায়, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর দিঘিরপাড় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে ঝিনাইগাতী সদর, ধানশাইল, মালিঝিকান্দা, হাতিবান্দা ও গৌরীপুর ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ওইসব গ্রামের রোপা আমন বীজতলাসহ সবজি ও পুকুরের মাছ। ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ঢলের পানিতে ১৫ হেক্টর জমির সবজি ও ২৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের বীজ তলা নিমজ্জিত আছে। আজকের মধ্যে পানি নেমে না গেলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলে জানান তিনি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সিরাজুস সালেহীন বলেন, ১০ থেকে ১৫ হেক্টর জমির ৫০ থেকে ৬০টি পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এদিকে শেরপুরের নকলা উপজেলার মৃগী নদীতে পানির তীব্র স্রোতে ভাঙন শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে মৃগী নদীর ভাঙনে নকলার বাছুরআলগা দক্ষিণপাড়া গ্র্রামের আফাজ উদ্দিনের বাড়ির বসতভিটাসহ মাহবুব হাজী ও জামাল চৌকিদারের ১০ শতক আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। নদী ভাঙনের কারণে ওই এলাকার আরও দু’টি বসতভিটার বাড়ি-ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, ভারী বর্ষণে নদীতে পানির তীব্র স্রোতের কারণে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে সতর্ক থাকার জন্য এলাকাবাসীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষকে বাড়িঘর সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
×