ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

দিলদারকে ভুলে গেছে চলচ্চিত্র পাড়া

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৩ জুলাই ২০১৯

দিলদারকে ভুলে গেছে চলচ্চিত্র পাড়া

অনলাইন রিপোর্টার ॥ চলচ্চিত্রের পর্দায় দুঃখ ভুলানো মানুষ ছিলেন তিনি। ছবি দেখতে দেখতে কষ্ট-বেদনা বা ক্লান্তিতে মন যখন আচ্ছন্ন হয়ে যেত তখনই তিনি হাজির হতেন হাসির ফোয়ারা ছড়িয়ে, পেটে খিল ধরিয়ে। বলছি, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা দিলদারের কথা। ২০০৩ সালের আজকের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই কৌতুক অভিনেতার চলে যাওয়ার ১৬ বছর হয়ে গেল আজ। অথচ তার মৃত্যবার্ষিকী নিয়ে কোথাও নেই কোন আয়োজন। দিলদার অভিনীত ছবিগুলো সিনেমা হলে কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় যখনই প্রচার হয় দর্শকরা তাকে নিয়ে আফসোস করেন। দিলদারের আরও অনেকেইএসেছেন হাসির ফোয়ারা ছড়াতে কিন্তু তার মত কেউই হতে পারেন নি। দিলদারের জনপ্রিয়তা এতটাই তুঙ্গে ছিল যে, তাকে নায়ক করে নির্মাণ করা হয়েছিল ‘আব্দুল্লাহ’ নামে একটি চলচ্চিত্র। নূতনের বিপরীতে এই ছবিতে বাজিমাত করেছিলেন তিনি। দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ছবিতে ঠাঁই পাওয়া গানগুলো। যে মানুষটা সিনেমার প্রাণ হয়ে ছিলেন, দর্শকদের বসিয়ে রেখেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা আনন্দ-কৌতুকে। সেই মানুষটার জন্মদিন ও মৃত্যবার্ষিকী চলে যায় নিরবে নিভৃতে। চলচ্চিত্রের কোথাও নেই তাকে মনে রাখার আয়োজন। তবে এসব নিয়ে মন খারাপ করেন না দিলদারের পরিবারের সদস্যরা। তাদের ভাষ্য, কোটি কোটি দর্শক এখনও দিলদারকে মনে রেখেছে। এটাই বড় পাওয়া। উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। তিনি এসএসসি পাস করার পর পড়াশোনার ইতি টানেন। ‘কেন এমন হয়’ নামের চলচ্চিত্র দিয়ে ১৯৭২ সালে অভিনয় জীবন শুরু করেন দিলদার। দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘নাচনেওয়ালী’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় সব চলচ্চিত্রে। সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সুবাদে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও লাভ করেন। দিলদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম। এই দম্পতির দুই কন্যা সন্তান। বড় মেয়ের নাম মাসুমা আক্তার। ছোট মেয়ে জিনিয়া আফরোজ।
×