ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শঙ্খ নদীর পানিতে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশিত: ০১:৫৭, ১৪ জুলাই ২০১৯

শঙ্খ নদীর পানিতে তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া ॥ শঙ্খ নদীর পানিতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলা এলাকায় প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। নারী, পুরুষ ও শিশুরা বর্তমানে গৃহবন্দি রয়েছেন। অনেক পরিবারের সদস্যদের আত্মীয় স্বজনের কাছে পাঠিয়ে দিলেও কিছু কিছু পরিবার এখনো ঘরের চালের উপর আতংকে সময় কাটাচ্ছেন। সাতকানিয়া উপজেলার খাগড়িয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি শামসুল আলম বাচা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসত ঘরের চালের উপর অবস্থান নিয়েছেন। তাদের বাড়ি এলাকায় ডুবে রয়েছে রাস্তা-ঘাট, পুকুর ও বসতি। এদিকে, অতি বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও শঙ্খ নদীর পানি অতি মাত্রায় বেড়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবে যাওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার রাতে কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বান্দরবানের গাড়ি চলাচল পুরোদমে বন্ধ হয়ে যায়। রাতে দূরপাল্লার গাড়ির যাত্রীরা গাড়িতেই সময় কাটিয়েছেন। আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে কিছু কিছু গাড়ি চলাচল শুরু করলেও মহা সড়ক থেকে পানি নামেনি। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ সাতকানিয়া, চন্দনাইশ উপজেলা এলাকার তিন লাখ মানুষ পানিবন্দি হলেও এখনো পর্যন্ত তাদের এলাকায় কোন ত্রান সামগ্রী পৌছেনি। দূরপাল্লার গাড়ি চালকরা জানিয়েছেন কক্সবাজার থেকে তারা রাত ১১টার সময় গাড়ি ছাড়লেও মহা সড়কের বিভিন্ন স্পটে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। রবিবার দুপুর ১২টার পর গাড়ি চলাচল শুরু হয়। সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, টানা ৮ দিনের অতি বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও শঙ্খ নদীর বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় এবার বন্যার ক্ষতি অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কের চন্দনাইশ উপজেলার কস্যাইপাড়াসহ কয়েকটি পয়েন্ট গাড়ি বন্ধ রয়েছে। তবে বিকল্প গাড়ি হিসেবে লোকজন ভ্যান গাড়ি ব্যবহার করেন। তাছাড়া শঙ্খ খালের ইঞ্জিন চালিত বোট চলছে মানুষের ফসলি জমিতে। লোকজন ইঞ্জিনচালিত বোট নিয়ে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজনের কাছে ফিরে যাচ্ছেন। সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ সংসদীয় আসনের সীমান্তে নতুন চর খাগড়িয়া এলাকায় বন্যার পানি ঘরের চাল ছুঁয়েছে। সাতানিয়া উপজেলার খাগড়িয়া ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সভাপতি শামসুল আলম বাচা জানিয়েছেন, শঙ্খ নদীর বাঁধ ভেঙে এবার তাদের এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে এখনো কোন ত্রান সামগ্রী পাননি। তিনি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×