ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে ছেলেধরা আতঙ্কে নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১৪ জুলাই ২০১৯

মুন্সীগঞ্জে ছেলেধরা আতঙ্কে নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ছেলেধরা সন্দেহে এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। শনিবার উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের বড়ইহাজি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মহিলা হালিমা বেগম (২৮) পুলিশ হেফাজতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। হালিমা বেগম মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার কালীখোলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও একই থানার নয়াগাঁও গ্রামের মৃত শাহ মোল্লার মেয়ে। হালিমাকে এক বছরের শিশু সুয়াইবাসহ সিরাজদিখানের নিমতলায় গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। এঘটনায় সুয়াইবার মা ঝুমা আক্তার (২৫) সিরাজদিখান থানায় হালিমার বিরুদ্ধে অপহরণের লিখিত অভিযোগ করেছেন। সুয়াইবার মা ঝুমা আক্তার জানান, তারা বর্তমানে সিরাজদিখানের বড়ইহাজী মিল্লাত মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। শনিবার বিকালে ২ জন মহিলা এসে পানি খেতে চায়। সে পানি দেয়। পরে খালি গ্লাস ঘরে রেখে এসে দেখেন উঠানে খেলারত সুয়াইবা ও মহিলারা নেই। মেয়েকে না দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং মেয়েকে খুঁজতে থাকে । খুজতে খুজতে এক সময় দেখি এক মহিলা আমার মেয়েকে কোলে নিয়া নিমতলার দিকে চলে যাচ্ছে। আমি চিৎকার দিয়ে তার কোল থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে আসি। উপস্থিত লোকজন মহিলাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। এরপর রবিবার থানায় গিয়ে আমি লিখিত অভিযোগ করি। আটক হালিমা বেগমের ছোট ভাই শরীফ জানান, তার বোন মানসিক রোগী। গত রমজান মাসে সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। খোঁজাখুজি করেও আমরা পাইনি। আজ খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জামান জানান, হালিমা পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে আছে। এখনো ভালভাবে কথা বলছে না। আরেকটু সুস্থ্য হলে বোঝা যাবে। সিরাজদিখান থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রাস্তায় এসে বাচ্চাসহ হালিমাকে আটক করা হয়। সে নাকি বলেছিল বাচ্চাটা পছন্দ হয়েছে তাই নিয়ে এসেছে। ধরা পরলেই সবাই বলে মানসিক রোগী, তার সাথে আরো কেউ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কোনটা সঠিক এখন বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে বলা যাবে। অভিযোগ অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
×