ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালীতে দুই পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী

প্রকাশিত: ০৮:০০, ১৫ জুলাই ২০১৯

পটুয়াখালীতে দুই পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের এস.আই মো. শামীম আকন (৪৬) ও বরগুনা থানায় কর্মরত কনেস্টবল আল-আমিন আকন (৩৪) নামের দুই পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আমলী আদালতের বিচারক আমিনুল ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে এ আদেশ দেন। এস.আই মো. শামীম আকন ও কনেস্টবল আল-আমিন আকন সম্পর্কে আপন দুই ভাই এবং এরা দুইজন পটুয়াখালী সদর উপজেলার জামুরা (তেলিখালী) গ্রামের মৃত ইউসুব আকনের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার চৌদ্দভুরিয়া গ্রামের মো. মিলন ডাকুয়া (৫৫) বাদি হয়ে পুলিশের এস.আই মো. শামীম আকন এবং তাঁর ছোট ভাই কনেস্টবল আল-আমিন আকনের বিরুদ্ধে পুলিশে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২৩/১২/২০১৮ ইং তারিখ পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আমলী আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এ বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিআইবি’র পটুয়াখালীর জেলা প্রধানকে আদেশ দেন। পিআইবি’র পরিদর্শক মতিনুর রহমান গত ০৬/০৭/২০১৯ ইং তারিখ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন এবং তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আজ সোমবার এ আদেশ দেন। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, বাদির দুই ছেলেকে পুলিশে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা নেয় পুলিশের এস.আই মো. শামীম আকন ও তাঁর ছোট ভাই কনেস্টবল আল-আমিন আকন। এর মধ্যে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা এবং নগদ দেওয়া হয় ৪ লাখ টাকা দেওয়া হয় ওই দুই পুলিশ কর্মকতাকে। কিন্তু আসামিরা বাদির ছেলেদের কোন চাকরিই দিতে পারেনি। পরবর্তীতে চাকরির টাকা ফেরত চাইলে নানা তালবাহনা শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে টাকা দিবে না বলে জানিয়ে দেয়। এমনকি এ টাকা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাদি ও তাঁর পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হুমকি দেয় সহোদর ওই দুই পুলিশ সদস্য। কোন উপয়ন্তু না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নেয় ভুক্তভোগি বাদি মো. মিলন ডাকুয়া।
×