অনলাইন রিপোর্টার ॥ জানাজায় উত্তেজনা আর শেষ সময়ের নাটকীয়তা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়্যারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দাফন রংপুরের পল্লীনিবাসে করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে তার দল।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর শহরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে এরশাদের কফিন আর ঢাকায় ফিরিয়ে না এনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এরশাদের বাড়ি পল্লীনিবাসে। সেখানে লিচুবাগানে বাবার কবরের পাশেই শায়িত হবেন সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ।
জাতীয় পার্টির প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “রংপুরের মানুষের ভালোবাসায় শ্রদ্ধা রেখে রংপুরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দিয়েছেন বেগম রওশন এরশাদ। পাশে নিজের জন্য কবরের জায়গা রাখার অনুরোধও করেছেন তিনি।”
এর আগে সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে রংপুর সেনানিবাসে পৌঁছায়। এরপর জানাজার জন্য সেখান থেকে মরদেহ রংপুরের ঈদগাহ মাঠে নেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার বাদ আসর সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা জানাজায় অংশ নেন।
তার আগে সকাল পৌনে ১১টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার টানেলে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম জানাজা।
১০ দিন ধরে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা এরশাদ রবিবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে মারা যান।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: