ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমের টানে হবিগঞ্জ থেকে বাঁশখালী এসে ধর্ষণের শিকার যুবতী

প্রকাশিত: ০৮:৪১, ১৭ জুলাই ২০১৯

প্রেমের টানে হবিগঞ্জ থেকে বাঁশখালী এসে ধর্ষণের শিকার যুবতী

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ১৬ জুলাই ॥ প্রেমের টানে হবিগঞ্জ থেকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে বাঁশখালীতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক যুবতী। এ ঘটনায় প্রতারক প্রেমিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ধর্ষিতা। মামলায় ওই ধর্ষণের পেছনে সহযোগী হিসেবে ধর্ষকের মামাত ভাই ও ফুফাত ভাই জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলা সদর এলাকার ৬ নম্বর রায়ছুড়া ইউনিয়নের ওই মেয়ে চাকরির জন্য ২০১৪ সালে দুবাইয়ে পাড়ি জামান। সেখানে তিনি ওয়াইটার কোম্পানির আওতাধীন রেস্টুরেন্টে মেসিয়ার হিসেবে কাজ করেন। দুই বছর পূর্বে দুবাইতে ওই রেস্টুরেন্টে বাঁশখালী উপজেলার সরল ইউনিয়নের নুরুল ইসলাম সিকদারের পুত্র মোঃ রুবেল সিকদারের সঙ্গে বিউটির পরিচয় হয়। রুবেল ৮ বছর যাবত দুবাইতে কর্মরত ছিল। এক পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর রুবেল তাকে বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করবে বলে গত রমজানের এক মাস আগে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। এদিকে রুবেল গত ২৫ জুন বাংলাদেশে এলে তার সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হবে বলে আশ্বাস দিয়ে তাকে চট্টগ্রামে আসতে বলে। সেই কথা অনুযায়ী ৭ জুলাই হবিগঞ্জ থেকে চট্টগ্রাম অলঙ্কার মোড় এসে পৌঁছলে রুবেল তাকে সিএনজি ট্যাক্সিযোগে নতুন ব্রিজ এলাকায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বিউটির কাছে রক্ষিত তিন লাখ টাকা রুবেল নিয়ে নেয়। পরে তাকে একটি ঠিকানা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাসে তুলে দেয়। ঠিকানা অনুযায়ী বিউটি বাঁশখালী পৌঁছলে বাড়িতে কেউ না থাকায় বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পরে রুবেলের ফুফাত ভাই পরিচয় দিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী তার আরেক ফুফুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে রাতে রুবেলও আসে। ওই বাড়িতে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরের দিন তাকে পুনরায় চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তিনি বিয়ের কথা তুললে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রুবেলের মা, বাবা, ভাই, বোন সবাই তাকে মারধর করে। পরবর্তীতে বাঁশখালী থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় গত ১১ জুলাই রাতে ওই যুবতী বাদী হয়ে বাঁশখালী থানায় একজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই যুবতী জানান, রুবেল দুবাই থাকা অবস্থায় আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্যবার ধর্ষণ করে। যার ফলে দুই বার আমাকে গর্ভবতী হতে হয়েছে। সে আমাকে দেশে গিয়ে সামাজিকভাবে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে আমার গর্ভপাত ঘটায়। দেশে এসে বিয়ে করার কথা বলে আমাকে তার গ্রামে নিয়ে গিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বললে তার মা, বাবা, ভাই বোন সকলে মিলে আমাকে মারধর করে।
×