ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কর্নাটকে কংগ্রেস লেজেগোবরে

প্রকাশিত: ১২:০৬, ১৭ জুলাই ২০১৯

কর্নাটকে কংগ্রেস লেজেগোবরে

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি সামাল দিয়ে উঠতে না উঠতে কর্নাটকে শাসক জনতা দল (সেক্যুলার) ও কংগ্রেস কোয়ালিশনকে নতুন সঙ্কট গ্রাস করেছে। মুখ্যমন্ত্রী এইচডি, কুমারস্বামী একদিকে ব্যক্তিগত সফলে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের ভেতর বিরুদ্ধমতো ও উপদলীয় কোন্দলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। রাজ্য বিধান সভার দু’জন কংগ্রেস সদস্য গত ১ জুলাই পদত্যাগ করেছেন। ওদিকে সরকারের ভেতর থেকে যাওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে নাান ধরনের বিভক্তি দেখা দিয়েছে। এক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের ভাষায় কংগ্রেস দলটির এখন লেজেগোবরে অবস্থা। সিদ্দারামাইয়া উপদলটি লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য জনতা দল (এস) দায়ী করছে এবং এই সরকারকে আর চলতে দেয়া উচিত নয় বলে মনে করে। আরেক উপদল মনে করে মন্ত্রিসভার রদবদলের পর এই সরকারকে চলতে দেয়া যেতে পারে। তৃতীয় উপদলটি কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেয়ার পক্ষপাতী। কংগ্রেস এমএলএ আনন্দ সিং ও রামেশ জারকিহলি সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্যের উল্লেখ করে পদত্যাগ করেছেন। ইস্পাত সমৃদ্ধ জেলার খনি মালিক আনন্দ সিং ‘জেএস ডব্লিউ স্টিল’য়ের কাছে ৩ হাজার ৭০০ একর খাস জমি বিক্রি করে দেয়া সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার ২৭ মে সিদ্ধান্তে বেশ নাখোশ ছিলেন। জারকিহলিকে গত ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। তিনি নিজে তো এমএলএ পদে ইস্তফা দিয়েছেনই তদুপরি বি, নগেন্দ্র, আর রোশান বেগ, বি,সি পাতিল, ভিমা নায়েক ও মহেশ কুমাথাল্লির মতো কংগ্রেসের অন্যান্য বিদ্রোহী এমএলএকে পদত্যাগ করানোর চেষ্টা করছেন। ২২৪ সদস্যের রাজ্য বিধান সভায় কুমারস্বামী সরকারের পক্ষে ১১৬ জন এমএএল থাকায় এই সরকারের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার চাইতেও তিনটি বেশি আসন আছে। কাজেই আশু হুমকি এ সরকারের নেই। কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি দীনেশ গু-ু রাও যদিও বলেছেন যে দুই এমএলএর পদত্যাগের কোন প্রভাব পড়বে না তথাপি জনতা দলের (এস) অন্দরমহলের লোকজন সরকারের ভবিষ্যত নিয়ে অত বেশি আশাবাদী নন। জনতা দলের এক সিনিয়র মন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস নেতারা এত তীব্র অন্তর্কলহে লিপ্ত যে তার জন্য সরকারের যথেষ্ট বদনাম হয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেস কতদিন তার বিভিন্ন উপদলকে একত্রে ধরে রাখতে পারবে কে জানে। শরিক দলগুলোর মতানৈক্যের কারণে সরকারের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। খরা, সুপেয় পানি সরবরাহ ও ব্যাঙ্গালুরুর বিপর্যস্ত অবকাঠামো নিয়ে আলোচনা শিকেয় উঠেছে। কিছু কিছু কংগ্রেস নেতার অভিযোগ কুমারস্বামী গ্রামীণ জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের কর্মসূচীকে নিজ দলের ভিত্তি জোরদার করার কাজে ব্যবহার করছেন। অন্যরা পনজি স্কিম তদন্তের জন্য গঠিত বিশেষ তদন্ত দলের ব্যাপারে রীতিমতো বিরক্ত। ওই স্কিমে কংগ্রেস মন্ত্রী বি, জেড, জমির আহমদ খান, বেগ ও কে রহমান খানের মতো সিনিয়র নেতাদের নাম এসেছে। ওদিকে বিজেপি সরকারের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চেষ্টা করছে এই মর্মে শাসক কোয়ালিশনের আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপি নেতা আর অশোক মন্তব্য করেন ‘একটা অজনপ্রিয় সরকারের স্থিতিশীলতা নস্যাতে আমাদের কি ভূমিকা থাকতে পারে ওই সরকারের তো আপনা থেকেই পতন ঘটবে।’ ওদিকে কুমারস্বামী টেলিফোনে এমএলএদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তিনি না ফেরা পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন। চলমান ডেস্ক সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
×