ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পারস্য উপসাগরে তৃতীয় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার

প্রকাশিত: ২৩:১১, ১৭ জুলাই ২০১৯

পারস্য উপসাগরে তৃতীয় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার

অনলাইন ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ সরকার ঘোষণা করেছে, তারা পারস্য উপসাগরে তৃতীয় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে। জিব্রাল্টার প্রণালীতে ব্রিটিশ নৌবাহিনী অবৈধভাবে একটি ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করার পর তেহরানের সঙ্গে লন্ডনের সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘোষণা দেয়া হলো। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পারস্য উপসাগরে ‘এইচএমএস কেন্ট’ যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হবে। কৌশলগত ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে অংশগ্রহণ ধরে রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ওই মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। তারা আরো বলেছে, ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা’র অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং এর সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে বর্তমানে ‘এইচএমএস মন্ট্রোস’ নামে তাদের যে যুদ্ধজাহাজটি রয়েছে সেটিকে মেরামতের জন্য ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর পরিবর্তে ‘এইচএমএস ডানকান’ নামে একটি ডেস্ট্রয়ার মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে ডানকান পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করবে বলে জানানো হয়েছে। চলতি মাসের গোড়ার দিকে জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে ব্রিটেন একটি ইরানি সুপার তেল ট্যাংকার আটক করার পর দু’দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে ব্রিটেন। স্পেন বলেছে, আমেরিকার অনুরোধে সাড়া দিয়ে ‘গ্রেস-১’ নামের তেল ট্যাংকারটি আটক করেছে ব্রিটেন। যদিও লন্ডন দাবি করছে, তেল ট্যাংকারটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল বলে সিরিয়ায় তেল রপ্তানির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা লঙ্ঘনের কারণে ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে। কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ ব্রিটেনের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সিরিয়াকে নয় বরং ইরানকে টার্গেট করে গ্রেস-১ আটক করা হয়েছে। আমেরিকা ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার যে চেষ্টা করছে তার জের ধরে ওয়াশিংটনের অনুরোধে লন্ডন এ কাজ করেছে। জারিফ আরো বলেন, ব্রিটেনের এ আচরণে প্রমাণ হয় দেশটি পরমাণু সমঝোতা রক্ষার লক্ষ্যে চেষ্টা করার যে দাবি করছে তা সত্য নয়।
×