ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আইএমএফ প্রধানের পদ ছাড়ছেন ক্রিস্টিন লগার্দ

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১৭ জুলাই ২০১৯

আইএমএফ প্রধানের পদ ছাড়ছেন ক্রিস্টিন লগার্দ

অনলাইন ডেস্ক ॥ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ক্রিস্টিন লগার্দ। ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) প্রধান হিসেবে তার মনোনয়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগেই মঙ্গলবার লগার্দ এ ঘোষণা দেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বরের পর তিনি আইএমএফ প্রধানের দায়িত্বে থাকছেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ইসিবি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমার মনোনয়ন প্রক্রিয়া ও দায়িত্ব গ্রহণের সময়ে বৃহত্তর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) স্বার্থেই আমি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাহী পরিষদ এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও নতুন একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঠিক করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।” ইউরোপিয়ান কাউন্সিল যদি তার মনোনয়ন অনুমোদন করে, তাহলে ৬৩ বছর বয়সী লগার্দই হতে যাচ্ছেন ইসিবির প্রথম নারী প্রধান, যিনি ইউরো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) এলাকার মুদ্রানীতি দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন। ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী কিনা- গত বছর এমন এক প্রশ্নের জবাবে লাগার্দ ‘না’ বললেও পরে তিনি ইসিবিপ্রধানের পদে মনোনয়নকে ‘সম্মানজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। ইতালির ব্যাংকিং খাতে জমতে থাকা কালো মেঘ এবং ইইউর শ্লথ প্রবৃদ্ধি সাদা চুলের ৬৩ বছর বয়সী এ নারীকে নতুন দায়িত্বে কঠিন পরীক্ষায় ফেলবে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। লগার্দ নিজেও এর আগে তার ‘অর্থনৈতিক বিষয়ে অভিজ্ঞতার ঘাটতির’ কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় ‘রকস্টার’ হিসেবে খ্যাত এ ফরাসী নারী ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন আইনজীবী হিসেবে, পরে ঢোকেন রাজনীতিতে। ২০১১ সালে আইএমএফে দমিনিক স্ত্রস কানের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার আগেই তিনি নিকোলা সারকোজির মন্ত্রিসভায় বেশ কয়েকটি পদ অলঙ্কৃত করেন; যার মধ্যে ছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও। তিনি কেবল ফ্রান্সেরই প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী নন, তার আগে শিল্পোন্নত জি-৮ভুক্ত কোনো দেশ কখনোই কোনো নারী অর্থমন্ত্রী দেখেনি। গ্রিসের ২০১০ সালের ‘বেইলআউটে’ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া আইএমএফের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে কাজ করে যাওয়া লগার্দ গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবেই বিশ্বের প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় শীর্ষ দশেই থেকেছেন।
×