ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চর্তুথ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি নিতে হবে : মোস্তাফা জব্বার

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৭ জুলাই ২০১৯

চর্তুথ শিল্পবিপ্লবের প্রস্তুতি নিতে হবে : মোস্তাফা জব্বার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চর্তুথ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের চর্তুথ দিনে ষষ্ঠ কার্যঅধিবেশনে জেলা প্রশাসকদের এই প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে মোস্তাফা জব্বার সাংবাদিকদের বলেন, চর্তুথ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছি। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে করণীয় সর্ম্পকে প্রস্তুতি নিতে বলেছি। আমাদের জনগণও এসব কিছু সহায়তা করবে বলে আশা করছি। জেলা প্রশাসকরা উৎসাহী, তারা সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে দেশের প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি কানেক্টিভিটি (ইন্টারনেট সংযোগ) পৌঁছে দেওয়া। এটা আমার কমিটমেন্ট। এই কমিটমেন্ট রক্ষা করার জন্য রেলপথ, সড়ক পথ, নৌপথের মতো ইন্টারনেটের পথ তৈরি করতে না পারি। আমাদের জন্য যেটা চ্যালেঞ্জ সেটা হলো গ্রামকে শহর বানানোর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা। শহর বানানোর মানে দালানকোঠা তৈরি ও রাস্তাঘাট পাকা করা বা মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করা নয়। আমরা যে সময়ে বাস করছি, এখন সারাবিশ্বই ডিজিটালে রূপান্তরিত হচ্ছে। আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারটা করেই রূপান্তরটা করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সামনের দিনে কৃষি থেকে শুরু করে এমন কিছু পাবেন না, যেখানে আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করবো না। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞ পৌঁছে সেবা দেওয়ার চাইতে অনেক সহজ হয়ে যাবে টেলিমেডিসিন ব্যবহার করা। আইওটি ব্যবহার অনেক সহজ হয়ে যাবে প্রচলিত কৃষির উন্নয়নের ক্ষেত্রে। আমরা এই রূপান্তরটা করতে চাচ্ছি, বাংলাদেশের প্রত্যেক বাড়িতে দ্রুতগতির কানেক্টিভিটি (ইন্টারনেট সংযোগ) পৌঁছাতে পারি, সেজন্য জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছি। জেলা পর্যায়ে কোথাও ফাইবার বসাতে চাইলে সংশ্লিষ্ট মেকানিকের নিরাপত্তা, জায়গার ব্যবস্থা করা, রাস্তাঘাট ব্যবহার করতে জেলা প্রশাসকের সহায়তা লাগবে। আমি আশাবাদি পরিবর্তনের সঙ্গে জেলা প্রশাসকরা খাপ খাওয়াতে পারবেন। প্রশাসনেও পরিবর্তন এসেছে। কাগজ থেকে ডিজিটাল হচ্ছে। এই রূপান্তরও তৃণমুল থেকে করতে হবে। বৈঠক শেষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে জেলা প্রশাসকরাও ভূমিকা পালন করবেন। জনগণকে সম্পৃক্ত করবেন। তবে জেলা প্রশাসকরা একটি প্রশ্ন তুলেছেন। মোবাইলের কারণে শিশুরা বিভিন্ন রকম জিনিস দেখছে। এটিও একটি অংশ। এটি কাটিয়ে উঠতে হবে। এর থেকে দূরে সরে গেলাম, বন্ধ করে দিলাম। এতে কোনো সমাধান হবে না। তিনি আরও বলেন, আমি বলেছি, আমাদের পরিকল্পনা করে এগিয়ে যেতে হবে। মানসিকতাও তৈরি করতে হবে। আমরা ওই জায়গায় যেতে চাই। বাংলাদেশ কোথায় উঠবে বাঙালি নিজেও জানে না। কিন্তু আমাদের চাওয়াটা আকাশ ছোঁয়া। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে ৬৪ জেলার প্রশাসক ছাড়াও কার্যঅধিবেশনে মন্ত্রণালয় দু’টির সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×