ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে বাসে গার্মেন্টসকর্মীকে যৌনপীড়নের ঘটনায় হেলপার গ্রেফতার, বাস জব্দ

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ১৭ জুলাই ২০১৯

শেরপুরে বাসে গার্মেন্টসকর্মীকে যৌনপীড়নের ঘটনায় হেলপার গ্রেফতার, বাস জব্দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরের ঝিনাইগাতীর একটি যাত্রীবাসে এক গার্মেন্টস কর্মী গৃহবধূকে যৌন পীড়নের অভিযোগে জুলহাস মিয়া (২০) নামে এক হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইগাতী সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জুলহাস সদর উপজেলার তাতালপুর গ্রামের উসমান আলীর ছেলে। বুধবার বিকেলে জুলহাসকে আদালতে সোর্পদ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ সুলতানা তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভারুয়া গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী ওই গৃহবধূ স্বামীসহ গাজীপুরের মাস্টারবাড়ী থাকেন। গত ৮ জুলাই তার স্বামীকে রেখে নিজ এলাকায় ভোটার তালিকায় তার নাম অর্ন্তভূক্তিকরণের উদ্দেশ্যে বাড়ি আসেন তিনি। ভোটার তালিকার কাজ সেরে পরদিন রাত ১১টায় তার শ্বশুর তাকে ঝিনাইগাতী থেকে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকাগামী মমিন পাগলের দোয়া (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-০৪২১) নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠিয়ে দেন। বাস ছাড়ার পর থেকেই ওই বাসের ড্রাইভার ও হেলপাররা গৃহবধূকে উত্যক্ত করতে থাকে। এক পর্যায়ে রাতে বাসের সকল যাত্রী ঘুমিয়ে পড়লে চালকের ইন্ধনে হেলপাররা তাকে নানা কৌশলে যৌন পীড়ন করে। পরে ওই অবস্থায় রাত ৩টার দিকে গাজীপুর গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ীতে ওই গৃহবধূ নেমে যায়। এদিকে ওই ঘটনায় মঙ্গলবার বাসের চালক রুবেল মিয়া (২৪) ও হেলপার জুলহাস মিয়া (২০) ও হোসেন মিয়া (২২) কে আসামি করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যৌন পীড়নের শিকার ওই গার্মেন্টসকর্মী। এরপর রাতে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের তত্ত্বাবধানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হেলপার জুলহাসকে গ্রেফতার ও বাসটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ওই ঘটনায় চালক-হেলপারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। সেইসাথে একজনকে গ্রেফতারসহ সংশ্লিষ্ট বাসটি আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
×