ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু ও নারীর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ১৮ জুলাই ২০১৯

 শিশু ও নারীর নিরাপত্তা

আজকাল দেশের কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে আবার ঘরে ফিরতে পারবে কিনা সেই নিশ্চয়তা দেয়ার মতো কেউ নেই। নারীরা যেখানেই যায় সেখানেই মানুষরূপী পশুগুলো পিছু নেয়। এ যেন শাঁখের করাতের মতো অবস্থা। ঘরে-বাইরে কোথাও নিস্তার নেই। প্রতিটি পদে পদে নির্যাতনের শিকার নারীরা। মানুষরূপী মস্তিষ্ক বিকৃত ওসব পশুর বিবেক বলতে কিছু আছে বলে মনে হয় না। ৩ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধাও রেহাই পাচ্ছে না হায়েনাদের কবল থেকে। এ কেমন দেশে বাস করছি আমরা? যেখানে মা-বোনদের বাঁচার অস্তিত্বই আজ হুমকির সম্মুখীন। বাসা-বাড়ি, রাস্তাঘাট কিংবা অফিস-আদালত সব জায়গায় অনিরাপদ আমাদের দেশের নারীরা। স্বাধীনতার অর্ধ শতক পেরিয়ে গেলেও আমরা জাতিগতভাবে এখনও বর্বরই রয়ে গেলাম। উন্নয়নের দিক দিয়ে আমরা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারলেও নৈতিকতায় কি নিজেদের সাফল্যমণ্ডিত করতে পেরেছি? ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা, হেনস্তা এবং নির্যাতন যেন আজকালকার রুটিন মাফিক কাজ। আদিমযুগের নরপশুদের মতো এখন নারীকে কুসংস্কারের যাঁতাকলে পিষ্ট করছে প্রতিনিয়তই। পাবলিক যানবাহন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জায়গায় হ্যারাসমেন্টের শিকার শুধু নারীরাই কেন হবে? চিকিৎসা সেবা নিতে গেলেই নারীকে অবলা ভেবে জোর করে হাত-পা ধরাসহ শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করার চেষ্টা করছে মানুষরূপী কিছু চরিত্রহীন ডাক্তার। লজ্জায় ভেতরে ভেতরে গুমরে মরছে হাজারও নারী। লোকলজ্জার ভয়ে কারও সঙ্গে শেয়ারও করতে পারছে না তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা। তার কারণ দিন শেষে নারীকেই দোষারোপ করে তথাকথিত সমাজ ব্যবস্থা। চিকিৎসার দোহাই দিয়ে শুধু নারীর শরীর ছোঁয়ায় ব্যস্ত ওসব ডাক্তার; যারা ভদ্র সমাজের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়। তাদের চেনার উপায় নেই। ভাল মানুষের মুখোশ পরে কিভাবে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে ওরা! এভাবে আর কতদিন চলবে নারীর প্রতি অবহেলা এবং নির্যাতন? সোনার বাংলায় নারীরা কবে হবে এসব হায়েনার কবল থেকে মুক্ত? অতি শীঘ্রই এদের আইনের আওতায় এনে যথোপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক। যাতে আর কোন দিন এ রকম জঘন্যতম কাজ করার সাহস না পায়। তা হলেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×