ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের পণ্য বিক্রি করতে চায় এ্যামাজন

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ১৮ জুলাই ২০১৯

 বাংলাদেশের পণ্য বিক্রি  করতে চায় এ্যামাজন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বাজারে বিক্রি করতে চায় এ্যামাজন। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের নীতিগত সহায়তা চেয়েছে। এ নিয়ে বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সঙ্গে এ্যামাজনের প্রতিনিধি দলের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, এ্যামাজনের ক্যাটাগরি ম্যানেজার গগন দ্বীপ সাগর, মার্চেন্ট সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমানসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করা পণ্য ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রির জন্য আগ্রহী এ্যামাজন। গ্লোবাল প্লাটফর্ম থেকে এসব পণ্য বিক্রি হবে। তবে বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে হলে বিদেশী ক্রেতাকে কিছু জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। সে সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশ এখন প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পণ্য বৈদেশিক বাজারে রফতানি করে। এ্যামাজন আমাদের কাছে যে প্রস্তাবটি নিয়ে এসেছে তা সফল হলে বিশ্ব বাজারে আমদের পণ্য রফতানি আরও সহজ হবে এবং অনলাইনভিত্তিক যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বড় একটি বাজার আমাদের জন্য উন্মোচিত হবে। এই প্লাটফর্মটিতে আমরা যুক্ত হতে পারলে আমাদের রফতানির পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ করা সম্ভব। বিশেষ করে ছোট ছোট পণ্য সরাসরি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে রফতানি করা সম্ভব হবে। অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ কেনাকাটার জন্য যে বিষয়গুলো প্রতিবন্ধকতা হিসেবে রয়েছে সেগুলো দূর করতে আমরা কাজ করছি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ্যামাজন আমাদের থেকে পণ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র্র এবং ইউরোপে তাদের ওয়্যারহাউসে নিতে চায়। এর জন্য বারবার এলসি (লেটার অন কন্সাইন্মেন্ট) ইস্যু করার থেকে একেবারেই করতে চাচ্ছে। একই সঙ্গে ডলারে লেনদেনের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে যেমন ব্যক্তি হিসেবে বছরে ১০ হাজার ডলার, ব্যবসায়ী হিসেবে ২০ হাজার ডলার এবং এক লেনদেনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার খরচ করা যায়। এর সীমাও বাড়াতে চায় এ্যামাজন। আর সর্বোপরি স্থানীয়দের দক্ষতা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতেও কাজ করতে চায় এ্যামাজন। বাংলাদেশে এ্যামাজনের কোন অফিস থাকবে কিনা এ প্রসঙ্গে পলক বলেন, এ্যামাজন বাংলাদেশে এখনই কোন অফিস খুলছে না। তারা এখানেই কোন রিটেইল ব্যবসায়িক কার্যক্রম করতে ইচ্ছুক কি না সে বিষয়ে এখনও কোন আলাপ আলোচনা হয়নি। আমরা তাদের বলেছি যে, আমাদের সরকার উদার নীতির সরকার। আমাদের স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সরাসরি এ্যামাজনে পণ্য দিতে পারলে তারা লাভবান হবে, সর্বোপরি দেশ লাভবান হবে।
×