ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নুসরাতের শ্লীলতাহানি মামলায় চার্জ গঠন পেছাল

প্রকাশিত: ১০:৪০, ১৮ জুলাই ২০১৯

 নুসরাতের শ্লীলতাহানি  মামলায় চার্জ  গঠন পেছাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী, ১৭ জুলাই ॥ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাতের শ্লীলতাহানির মামলার র্চাজ গঠনের দিন পেছানো হয়েছে । আগামী ৫ আগস্ট চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেছে আদালত। বুধবার সকালে ফেনী কারাগার থেকে নুসরাত হত্যা মামলার অন্য আসামিদের সঙ্গে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আদালতে হাজির করা হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ পদমর্যাদার) মামনুর রসিদের আদালতে এ মামলা উপস্থাপন হলে বিচারক এ আদেশ দেন। গত ৩ জুলাই বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইনের আদালতে মামলার তদন্তকারী কমকর্তা পিবিআই ইন্সপেক্টর মোঃ শাহ আলম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে একমাত্র আসামি করে এ অভিযোগপত্র জমা দেন। যে কারণে নুসরাতকে হত্যার চেষ্টা করা হয় ॥ গত ২৬ র্মাচ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তার অফিস কক্ষে নুসরাত জাহান রাফিকে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ ঘটনায় গত ২৭ মার্চ নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় সোনাগাজী থানা পুলিশ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে। এরপর সিরাজ উদ দৌলার অনুসারীরা নুসরাতকে মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেয়। নুসরাত রাজী না হওয়ায় আলিম পরীক্ষার দিন গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে সিরাজ উদ দৌলার অনুসারীরা আগুন দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। অগ্নিদগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের র্বান ইউনিটে গত ১০ এপ্রিল মারা যায়। নুসরাত মারা যাওয়ার পর পুলিশ সদর দফতর নুসরাতের হত্যা মামলা ও শ্লীলতাহানির মামলা পিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করে। নুসরাত হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত ॥ নুসরাত হত্যা মামলার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে । আদালতে ৪ সাক্ষী আজ সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীগণ তাদের জেরা শেষ করেন। আদালত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত মুলতবি করেছেন বিচারক। বৃহস্পতিবার ৩ সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করবেন ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরা করবেন। এ পর্যন্ত ২২ সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। নুসরাতের আলিম পরীক্ষার ফল ॥ নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষার ২টি পত্রে অংশগ্রহণ করেছিল। আরবী পরীক্ষার দিন ৬ এপ্রিল তাকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। যে ২টি পরীক্ষায় নুসরাত অংশগ্রহণ করেছিল সে ২টি পত্রেই এ গ্রেড পেয়েছে বলে মাদ্রাসা সূত্র নিশ্চিত করেছে। অগ্নিদগ্ধ নুসরাত বাকি পরীক্ষাগুলো দিতে পারেনি। হামলার শিকার না হলে বেঁচে থাকলে সকল পরীক্ষা দিতে পারলে নুসরাত হয়ত ভাল ফল করত বলে জানায় তার নিকট আত্মীয় গোলাম এহেতেশাম।
×