ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ ট্রেন উদ্বোধন ॥ বাড়ল ‘বনলতা’র যাত্রাপথ

কোন অপশক্তি উন্নয়ন থামাতে পারবে না ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ১৮ জুলাই ২০১৯

 কোন অপশক্তি উন্নয়ন থামাতে পারবে না ॥ প্রধানমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলের মধ্যে চলাচলের জন্য নতুন আন্তঃনগর ট্রেন বেনাপোল এক্সপ্রেস আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করল। বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পতাকা নেড়ে হুইসেল বাজিয়ে এই নতুন ট্রেন উদ্বোধন করেন। একই অনুষ্ঠানে তিনি ঢাকা-রাজশাহী’ রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর বিরতিহীন ট্রেন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’-এর যাত্রাপথ চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত বর্ধিত করেন। এর আগে ২৫ এপ্রিল ঢাকা-রাজশাহী’ রুটে আন্তঃনগর বিরতিহীন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আবাসিক প্রতিনিধি মনমোহন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে রেলখাতের সার্বিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। পরে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে বেনাপোল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রান্তের জনগণের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। খবর বাসসর। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’-এর এক জোড়া ট্রেন ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচল করবে। এর মধ্যে যাত্রাপথে ঈশ্বরদী, যশোর এবং ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতির কথা রয়েছে। ৮৯৬ আসন এবং ১২ কম্পার্টমেন্ট সমৃদ্ধ টেনটি প্রতিদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বেনাপোল থেকে ছেড়ে এসে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছবে এবং রাত সাড়ে বারোটায় ঢাকা থেকে ছেড়ে সকাল আটটা নাগাদ বেনাপোল গিয়ে পৌঁছবে। ট্রেনের টিকেট শোভন চেয়ার শ্রেণীর জন্য ৫শ’ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনের জন্য এক হাজার টাকা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনের জন্য ১২শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রেনের কম্পার্টমেন্টগুলো ইন্দোনেশিয়া থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, জনগণ তাদের ঈদের সময় এই ট্রেনে ভ্রমণের সুবিধা নিতে পারবে। স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল, যশোর থেকে জানান, বহু প্রতীক্ষার পর যাত্রা শুরু করল বেনাপোল-ঢাকা আন্তঃনগর বিরতিহীন ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ট্রেনটি উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পর বেলা ১টা ১০ মিনিটে সুসজ্জিত ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেনাপোল-ঢাকা ট্রেন উদ্বোধন করায় খুশি এ এলাকাসহ বেনাপোল চেকপোস্ট ব্যবহারকারীরা। এদিকে উদ্বোধন উপলক্ষে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, যশোর-১ আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীন ও যশোর-২ আসনের সাংসদ মেজর জেনারেল ডাঃ নাসির উদ্দীন, বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। উদ্বোধনকালে ভিডিও কনফারেন্সে একজন শিক্ষার্থী ও ট্রেনের একজন যাত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে এই রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকার আবর সেই রেল চালু করেছে। দেশের উন্নয়নে কোন অপশক্তি থামিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ চালু করা হবে। এর ফলে বেনাপোলের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ আরও সহজ হবে। যশোরের সঙ্গে ১৮০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। এর ফলে যাত্রী সুবিধার পাশাপাশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখবে। এতে মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে বেনাপোলে আসা যাবে। বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, ট্রেনটিতে ১২ বগি রয়েছে। এর আসন সংখ্যা ৮৯৬। ট্রেনের ভেতর এসি চেয়ারের জন্য রয়েছে একটি বগি এবং কেবিন একটি বগিতে। বেনাপোল এক্সপ্রেসের ননএসি শোভনের টিকেট ৫৩৪ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ১০২৫ টাকা এবং কেবিনের ভাড়া হবে ১২২৮ টাকা। ট্রেনে ৪ ও ৮ সিটের কেবিন রয়েছে। সপ্তাহে ৬ দিন বিরতিহীনভাবে চলবে বেনাপোল এক্সপ্রেস। তিনি বলেন, আধুনিক এই ট্রেনের কোচগুলো (বগি) ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি ইতোমধ্যে রাজশাহী অঞ্চলে চালানো হয়েছে। এ ট্রেনে বিমানের মতো বায়ো-টয়লেট সুবিধা রয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ১টায় ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। আবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বেনাপোলের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। সকাল আটটার মধ্যে ট্রেনটি বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছাবে। যাত্রীরা অনলাইনেও টিকেট সংগ্রহ করতে পারবে। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন ও যশোর রেলওয়ে জংশন থেকে টিকেট বিক্রি করা হবে। এ ছাড়া অনলাইনের এই ট্রেনের টিকেট পাওয়া যাবে ২২ জুলাই থেকে। ১৭ জুলাই প্রথম দিন বেনাপোল থেকে ৯৬ টিকেট বিক্রি হয়েছে বলেও জানান স্টেশনমাস্টার সাইদুজ্জামান। ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট, এমপোর্ট ও এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, দেশে স্থলপথে যে বাণিজ্য হয়, তার ৭০ শতাংশ হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। ব্যবসায়িক প্রয়োজন, চিকিৎসা ও ভ্রমণের কাজে এ পথে মানুষ বেশি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু সড়ক পথে বাসে সীমাহীন দুর্ভোগে তাদের যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে সড়কে বাসে অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম্য আর দুর্ঘটনা তো লেগেই থাকে। এপথে রেলসেবা চালু হলে যাত্রীরা এমন ক্ষতির হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পাবে। বেনাপোল আমদানি-রফতানি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক বলেন, এ রুটে প্রায়ই বাস সংকটে দূর-দূরান্তের যাত্রীদের আটকে পড়ে ভোগান্তি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হতে দেখা যায়। তাদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এ পথে রেলসেবা চালুতে এখন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে সাধারণ যাত্রীরা। সড়কপথে ভারতগামী পাসপোর্টধারী যাত্রী সজীব আহমেদ জানান, দেশ ভাগ হলেও ভারতের সঙ্গে এখনও অনেকের আত্মীয়ের বন্ধন রয়ে গেছে। এ কারণে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে এবং ভাল চিকিৎসা পেতে তাদের প্রায়ই ভারতে যেতে হয়। ভারত থেকেও তাদের অনেক আত্মীয় বাংলাদেশে আসে হরতাল, অবরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাত্রীরা সড়কপথে যাতায়াতের ক্ষেত্রে আটকে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হয়। এখন যেহেতু এ পথে যাত্রীবাহী রেল চালু হচ্ছে, সেহেতু তারা অনেক উপকৃত হবেন। জানা যায়, বেনাপোল রুটে ভারতের সঙ্গে এর আগেও যাত্রীসেবায় রেল সার্ভিস চালু ছিল। তবে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই তা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রায় ১৫ বছর আগে দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় পণ্য পরিবহনে আবারও চালু হয় কার্গো সার্ভিস। পরে ২০১৭ সালের ১৬ নবেম্বর শুরু হয় খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে বন্ধন রেলের যাত্রীসেবা। এখন ঢাকা-বেনাপোল রুটে যাত্রীবাহী রেল সেবা চালুতে সবদিক থেকে উপকৃত হবেন যাত্রীরা। এদিকে এই ট্রেনে প্রথম যাত্রী হতে পেরে খুশি স্থানীয়রা। স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, ঢাকার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় বেনাপোল এক্সপ্রেস ও বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস এর পতাকা ও বাঁশি বাজিয়ে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি বলেন, সামনে ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ) আসছে। ঈদ উপলক্ষে বেনাপোল ও চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীকে উপহার হিসেবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ও বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন দিলাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রান্তে ভিডিও কনফারেন্স সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এ.কে.এম. তাজকির-উজ-জামান। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেন আম ব্যবসায়ী ইসমাইল খান শামীম ও একজন শিক্ষার্থী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মইনুদ্দিন ম-ল, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান, সহ-সভাপতি আলহাজ রুহুল আমিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সামিল উদ্দিন শিমুল, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসি ইসলাম জেসি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল আলম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি সামিউল হক লিটনসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিভিন্নস্তরের আওয়ামী লীগের নেতারা। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক খোন্দকার শহীদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেনসহ অন্যরা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার উপ-দফতর সম্পাদক জামাল আব্দুল নাসের পলেন, ক্রীড়া সম্পাদক মোঃ আজিমুল আহসান রিমন, জেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক মোসফিকুর রহমান টিটুসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের নেতা। ১৮ জুলাই ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়মিত ছেড়ে যাবে আন্তঃনগর ট্রেন বনলতা। উদ্বোধন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেল স্টেশনকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছিল। নিয়মিত ট্রেন চলাচলের জন্য রেলস্টেশনের সংস্কার কাজ এগিয়ে চলেছে। আন্তঃনগর ট্রেনের স্টাফদের থাকার জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেন ধোয়া-মোছার জন্য ওয়াশ পিট নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন হওয়ার পথে। বনলতা উদ্বোধন উপলক্ষে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসে সরকারী কলেজের বিশাল জনসভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন দেবেন। অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য দেরিতে হলেও প্রধানমন্ত্রী তার দেয়া কথা রেখেছেন। আজ তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বপ্নের আন্তঃনগর ট্রেনের উদ্বোধন করলেন। আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-বাসী ও জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যারা এর পেছনে থেকে কাজ করেছেন।
×