ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টানা সাত হারে ক্লান্ত কানাডিয়ান টেনিস তারকা

বেহাল বাউচার্ড!

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ১৮ জুলাই ২০১৯

বেহাল বাউচার্ড!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুঃসময় যেন পিছু ছাড়ছেন না ইউজেনি বাউচার্ডকে। টেনিস কোর্টে ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি। একের পর এক ম্যাচে হেরেই চলেছেন কানাডার প্রতিভাবান এই খেলোয়াড়। সর্বশেষ লাউসান্নেতে লেডিস ওপেনেও লজ্জাজনকভাবে হেরে গেছেন বাউচার্ড। টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে অখ্যাত তামারা কোরপাটসচের কাছে হেরে যান তিনি। তামারা কোরপাটসচ এদিন ২-৬, ৬-৪ এবং ৭-৫ গেমে পরাজিত করেন টুর্নামেন্টের অষ্টম বাছাই ইউজেনি বাউচার্ডকে। দুই ঘণ্টা ৩৬ মিনিট লড়াই করে টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয় তাকে। এর ফলে টানা সাত ম্যাচে হারের স্বাদ পেলেন উইম্বলডনের সাবেক এই ফাইনালিস্ট। এর আগে সর্বশেষ তার জয়টা এসেছিল দুবাইয়ে। গত ফেব্রুয়ারিতে কোয়ার্টার ফাইনালে সর্বশেষ কোন ম্যাচে জয় পেয়েছিলেন খুব দাপটের সঙ্গে টেনিসে আগমনকারী এই তারকা খেলোয়াড়। বাউচার্ডের হারের দিনে জয় নিয়েই কোর্ট ছেড়েছেন সপ্তম বাছাই দারিয়া গ্যাব্রিলোভা এবং ক্যারোলিন গার্সিয়া। টুর্নামেন্টের সপ্তম বাছাই গ্যাব্রিলোভা প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ৭-৫, ৪-৬ এবং ৬-৩ গেমে পরাজিত করেন ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে খেলতে আসা ইলেনা ইন এলবোনকে। আরেক ম্যাচে দ্বিতীয় বাছাই ক্যারোলিন গার্সিয়া ৬-২ এবং ৬-৩ গেমে হারান এ্যান্তোনিয়া লোটনারকে। ২০১৪ সালে টেনিস কোর্টে ব্যাপক দাপটের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিলেন বাউচার্ড। মেজর কোন শিরোপা জিততে পারেননি সেবার। কিন্তু তারপরও তরুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় হিসেবে পুরো মৌসুমজুড়েই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি। সেই মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফানালে ওঠেন তিনি। চীনার লি নার কাছে হেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শেষ চার থেকে বিদায় নেন পাঁচ ফুট ১০ ইঞ্চি উচ্চতার এই টেনিস তারকা। ধারাবাহিক পারফর্মেন্সের সৌজন্যে ফ্রেঞ্চ ওপেনেও শেষ চারের টিকেট নিশ্চিত করেন বাউচার্ড। এবার থাকে থামিয়ে দেন রাশিয়ান টেনিসের গ্ল্যামারগার্ল মারিয়া শারাপোভা। তারপরও দমে যাননি তিনি। মৌসুমের তৃতীয় গ্র্যান্ডসøাম টুর্নামেন্ট উইম্বল্ডনে নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেন প্রতিভাবান এই তারকা। প্রথম কানাডিয়ান খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠার বিস্ময়কর কীর্তিও গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে সেবার চেক প্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভার কাছে পরাজয় মানেন বাউচার্ড। মৌসুমের প্রথম তিন মেজর টুর্নামেন্টের তিনটিতেই ব্যর্থ। তারপরও বিশ্ব টেনিসকে চমকে দিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেন তিনি। তবে কয়েক বছর আগে দুর্দান্ত শুরুর সেই চমক খুব বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি এই কানাডিয়ান। টেনিস কোর্টে গত কয়েক বছর ধরে তো খুঁজেই পাওয়া যায়নি তাকে। বাউচার্ডের মতো মারিয়া শারাপোভাও এখন টেনিস কোর্টের নিষ্প্রভ তারকা। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছেন তিনি। ক্লে-কোর্ট মৌসুমের পুরো সময়টাতেই বিশ্রামে ছিলেন তিনি। তবে ঘাসের কোর্টে আবারও কোর্টে ফিরেন রাশিয়ান টেনিসের এই গ্ল্যামারগার্ল। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা। জানিয়ে রাখা ভাল যে, ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ঘাসের কোর্টে সাতটি ফাইনাল খেলেছিলেন শারাপোভা। এই সময়ে জিতেছেন তিনটি শিরোপা। ২০০৪ সালে উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি দুইবার উঁচিয়ে ধরেছেন বার্মিংহ্যাম ওপেনের ট্রফি। এবারও ঠিক উইম্বলডন শুরুর আগেই ইনজুরি কাটিয়ে কোর্টে ফেরার ঘোষণা দিয়েছিলেন পাঁচটি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। কিন্তু কোর্টে ফিরে খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি। শুধু শারাপোভা কেন? মহিলা এককে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সকলেই প্রায় নিষ্প্রভ। ভেনাস উইলিয়ামস, ক্যারোলিন ওজনিয়াকি কিংবা ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কার মতো তারকা খেলোয়াড়রা গত কয়েক বছর ধরেই কোর্টে খুব বাজে সময় পার করছেন। তবে ব্যতিক্রম পুরুষ এককে। এখনও চলছে অভিজ্ঞদের দাপট। প্রায় দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে টেনিস বিশ্বে রাজত্ব করছেন ‘বিগ থ্রি’ খ্যাত রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল এবং নোভাক জোকোভিচ। গ্র্যান্ডস্লামে রাজত্ব করছেন এই তিন তারকাই।
×