খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলার শুনানি পিছিয়ে ২ সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ মোট ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে আদালত। বুধবার এ মামলাগুলোর শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্ট স্থগিত করেছে জানিয়ে, শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে এ তারিখ নির্ধারণ করেন। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। বুধবার এগারো মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় চার্জশীট গ্রহণের বিষয়ে শুনানির এবং অপর দশ মামলায় চার্জ শুনানির দিন ধার্য ছিল। উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করা হয়। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবি পুলিশ। অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। ২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।