ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ১৮ জুলাই ২০১৯

  রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক সম্প্রসপারণ কাজে নি¤œমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার, বিলম্বিত কাজের প্রতিবাদে ৫ কিলোমিটার লম্বা মানববন্ধন করেছে মোহনপুর উপজেলাবাসী। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সাধারণ মানুষ ও পেশাজীবীরা অংশ নেন। মানববন্ধনে মানুষের বাধভাঙ্গা অংশ গ্রহনে বন্ধ হয়ে যায় এ রুটে চলাচলকারী সব ধরণের যানবাহন। মানববন্ধন থেকে দ্রুত এ সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ করা না করলে আগামীতে আঞ্চলিত এ মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কেশরহাট ডিগ্রি কলেজ থেকে শুরু করে বাকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত টানা প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ হয় এ মানববন্ধনটি। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে ১০ পর্যন্ত আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষনা পরিষদের রাজশাহী আঞ্চলিক সদস্য সচিব অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম সুলতান, মোহনপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ, মোহনপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল, কেশরহাট ডিগ্রি কলেজের উপাধাক্ষ আনোয়ারুল হক হেনা, কেশরহাট মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তাজরুল ইসলাম, কেশরহাট টিবিএম কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, মোহনপুর মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক আবদুল মান্নান, মহিষকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিবর রহমান, কেশরহাট উচবিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক সহিদুজ্জামান শহিদ প্রমূখ। এলাকাবাসী জানান, ২০১৮ সালের শুরুর দিকে উত্তরাঞ্চলের ব্যস্ততম রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের নির্মাণ কাজ করা হয়। শুরু থেকেই নওগাঁ সীমানার কাজ দ্রুত শেষ করা হলেও রাজশাহীর অংশে কাজ চলতে থাকে ঠিকাদারের ইচ্ছেমত। রাস্তাটি খুড়ে রাখলেও শুষ্কমৌসুমে দেয়া হয়নি পানি। ফলে ধুলিবালিতে চরম ঝুকিতে যানবাহন চলাচল করেছে। প্রায় পৌনে দুই বছর ধরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন এলাকার মানুষ। চলতি বর্ষামৌসুমে এখন কেটে রাখা ফুটপাত ভেঙ্গে ওই ভরাট হচ্ছে। মুল সড়ক নিচু আর ফুটপাত উঁচুর কারণে পানি নিষ্কাশণ হচ্ছে না। ফলে অনেক স্থানে জমে থাকে হাটুপানি। বেশকিছু স্থানে দুর্ঘটনার পর স্থানীরা টাঙিয়ে দিয়েছে লাল কাপড়ের বিপদ সংকেত। এ রাস্তার সর্বোচ্চ বিপদজনক স্থানে পরিণত হয়ে পড়েছে শিক্ষা কেন্দ্রিক কেশরহাটের বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ বলেন, মহাসড়কটির কাজ দ্রুত শেষ করা জরুরী। দীর্ঘদিন রাস্তাটির কার্পেটিং তুলে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা রয়ছে। রাস্তার উপরে কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমে থাকছে। রাস্তার কাজের এ ধরনের চরম অবস্থার জন্য জনসাধারণের কাছে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী বলে দাবি করেন তিনি। জানা গেছে, সড়কটির কাজ মাঝপথে পেলে রেখে লাপাত্তা রয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
×