ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে কাজ হচ্ছে : অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৮:০২, ১৮ জুলাই ২০১৯

 পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে কাজ হচ্ছে : অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে সরকার কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এলক্ষ্যে চলতি বাজেটে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামীতেও পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকারের তরফ থেকে যা যা করা দরকার তা করা হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। প্রসঙ্গত চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার আগেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হউন অর্থমন্ত্রী। দীর্ঘদিনের অসুস্থ্যতা ও বিদেশ সফরের পর সচিবালয়ে অফিস করলেন মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ার বাজারের জন্য আমার কাজটা হবে একটা সুন্দর অবস্থান তৈরি করে দেয়া। যাতে করে শেয়ারবাজার নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। তিনি বলেন, শেয়ারবাজার একটি বাজার। যারা এখানে বিনিয়োগ করবেন তারাই লাভবান হবেন বিষয়টি একেবারে এমন নয়। লাভও হতে পারে আবার লোকশানও হতে পারে। প্রত্যেক দেশেই পুঁজিবাজারে মাঝেমধ্যে শেয়ারের দাম কমে। তবে এখন বাজারের যে অবস্থা সেটা খুব বেশি দিন থাকবে না। বাজার অবশ্যই ভাল হবে। কামাল বলেন, ১৯২৯ থেকে ৩৩ সাল পর্যন্ত চার বছরে বিশ্বে একবার বাণিজ্য যুদ্ধ হয়েছিল। সে সময় ২০ হাজার আইটেমে উপর ট্যারিফ বসানো হয়। তাই সারাবিশ্বে প্রায় ৬৬ শতাংশ বাণিজ্য কমে গিয়েছিল। কয়দিন আগে চায়না এবং আমেরিকার মধ্যে একটা সমস্যার সৃষ্টির কারনে ৪ থেকে ৫ শতাংশের মত ট্রেড কমে গেছে। এ সমস্ত জিনিসগুলো অনেক সময় শেয়ারবাজারে প্রভাব ফেলে। তবে সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে আসছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক দেশের পুঁজিবাজারের শেয়ারের দাম কমে আবার বাড়ে। তবে পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার নজির নেই। ক্ষতিগ্রস্থ হলে ভারতে পুঁজিবাজারের ইনডেক্স চলে এসেছিল ১৮ হাজার থেকে ৭ হাজারে। সেখানে কমেছে আবার বেড়েছে। আমাদের এখানেও বেড়েছে আবার কমেছে। আমাদের পুঁজিবাজারে এখন খুব বেশি উঠানামা নেই। স্থিতিশীল রয়েছে। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য সরকারের যেটুকু করার সেটুকু করা হবে। আমাদের অর্থনীতি খুব শক্তিশালী, এটা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তাহলে অর্থনীতির প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়ছে না কেনো প্রশ্ন রাখেন তিনি। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে এটার প্রভাব আশা উচিত। পুঁজিবাজারে শক্তিশালী বা বড় বিনিয়োগকারী ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী থাকা দরকার। তবে আমাদের পুঁজিবাজারে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর সংখ্যাই বেশি। তিনি বলেন, পার্শবর্তী দেশসমূহের অর্থনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিলে এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়ে। আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা শুধু লাভ করতে চায়। ট্রেড করে ছোট্ট লাভ করে বেরিয়ে যেতে চায়। এটা কিন্তু পুঁজিবাজার না। পুঁজিবাজারের দুটি পদ্ধতি আছে। একটা হচ্ছে আপনি ট্রেড করবেন লাভ করবেন। আবার আপনি ইনভেস্টমেন্ট ধরে রাখবেন যাতে ক্যাপিটাল গেইন পেতে পারেন। আমাদের এখানে দুঃখজনক যে ক্যাপিটাল গেইনের চিন্তা কেউ করে না। অর্থমন্ত্রী বলেন, ১০০ টাকার শেয়ার কবে ১৫০ টাকা হবে এটা কেউ চিন্তা করে না। এবারের বাজেটে বেশকিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ডিভিডেন্টের উপর একাধিকবার করারোপ তুলে দেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত করছাড় দেয়া হয়েছে। এ বাজার উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেয়া হবে। কারণ এখনো হাজার হাজার মানুষ পুঁজিবাজারের সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং তাদেরকে বাদ দিয়ে দেশের অর্থনীতি চিন্তা করা যায় না।
×