ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর যা বললেন মুরালিধরন

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১৯ জুলাই ২০১৯

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর যা বললেন মুরালিধরন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দ্বাদশ বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে আরও আগেই। কিন্তু তার রেশ রয়ে গেছে এখনও। লর্ডসে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ডের রোমাঞ্চকর সেই ফাইনালের আলোচনা-সমালোচনা কিন্তু থেমে নেই। বিশেষ করে মার্টিন গাপটিলের থ্রো আর সুপার ওভারে ড্র নিয়ে অনেককে তীর্যক মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে। তবে শ্রীলঙ্কার সাবেক কিংবদন্তি বোলার মুত্তিয়া মুরলিধরন মনে করেন, এবার দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা উচিত ছিল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচে যেহেতু কোন দলই জয়সূচক রান করতে পারেনি সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডকে শিরোপা ভাগাভাগি করে দিতে পারতো।’ ক্রিকেটের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় ইংল্যান্ডকে। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। এবারের আগে কোনবারই বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারেনি তারা। তবে এবার ঘরের মাঠে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই অসাধারণ পারফর্মেন্স উপহার দেয় ইয়ন মরগানের দল। দুর্দান্ত খেলেই ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে স্টোকস-রুটরা। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডও ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম শীর্ষ সারির দল হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু বলা হয়ে থাকে ব্ল্যাকক্যাপসদের দৌড় সেমিফাইনাল পর্যন্তই। তবে এবারও শুরু থেকে নিজেদের সেরাটা খেলে টানা দুইবার ফাইনালে জায়গা করে নেয় কেন উইলিয়ামসের দল। কিন্তু এবারও সেই স্বপ্নভঙ্গের গল্প রচিত হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। শিরোপার লড়াইয়ে দুর্ভাগ্যক্রমে ছিটকে যেতে হয়েছে তাদের। তবে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ স্টিভ স্টিডও মুত্তিয়া মুরলিধরনের মতো দুই দলকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে পারতো বলে মনে করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন সাত সপ্তাহ ধরে দুই দল প্রচন্ড চ্যালেঞ্জিং একটা টুর্নামেন্ট খেলে এবং ফাইনাল ম্যাচের এক শ’ ওভার ও সুপার ওভারের পরেও যখন দুই দলকে আলাদা করা না যায় তখন আইসিসি চাইলে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড উভয়দলকে যুগ্ম-চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করতে পারত।’ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের মতো একই সুরে কথা বলছেন কিউই ব্যাটিং কোচ ক্রেইগ ম্যাকমিলান। তার মতে, ‘আমি বললেই তো আর খেলার ফলাফল পরিবর্তন হবে না। তবে সাত সপ্তাহব্যাপী এত বড় একটা টুর্নামেন্টের পর ফাইনালেও যখন দুটো দলকে আলাদা করা না যায় তখন দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা যেত। এটাই হতো উপযুক্ত ফলাফল।’
×