ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আ’লীগের আন্দোলনের জন্যই খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছিল ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:০০, ১৯ জুলাই ২০১৯

আ’লীগের আন্দোলনের জন্যই খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছিল ॥ তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আইনি প্রক্রিয়ার বিকল্প নেই বলেও জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কারণেই ১/১১ সময় কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলেছিলো।ওই সময় আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ মাঠে আন্দোলন করেনি। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ বিএনপি নেতা-কর্মীরা সরকারের সব উন্নয়নের মধ্যেই ‘কিন্তু’ খুঁজতে চায়। তারা নাকি দেখতে পায় দেশে উন্নয়নের নামে একশ্রেণীর মানুষের পকেট ভারি হচ্ছে। আমরা দেখেছি বিএনপির শাসনে যখন দেশ দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। বিশ্বব্যাংক তাদের ৫টি প্রকল্প থেকে অর্থ ফিরিয়ে নিয়েছিলো। তারা নিজেরা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলো বলেই অন্যদের কাজের মধ্যে ‘কিন্তু’ খোঁজার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, তাদের দলের মহাসচি মির্জা ফখরুল বরিশালের এক সমাবেশে বলেছেন, দেশে নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ একটি ভোটও পাবে না। একটি দলের মহাসচিব হয়ে কিভাবে এমন মন্তব্য করেন আমার বুঝে আসে না। কোনো মানসিক রোগীওতো বলতে পারে না একটি ভোটও আওয়ামী লীগ পাবে না। আসলে তাদের দলকে তারা কোন দিকে নিয়ে যেতে চায় তারাই ভালো জানে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা দুইদিন পরপর অভিযোগ করে বলেন তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া খেতে পারছেন না, প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। পরে আমরা খবর নিয়ে জানতে পারি খালেদা জিয়ার জিহ্বায় কামড় লাগায় কয়েকদিন খেতে পারেননি। আমার এমন সমস্যা হলে আমিওতো খেতে পারবো না। এতে প্রাণহানির কি আছে। আবার তারা আন্দোলনের হুমকি দেয় যা দেশবাসীর কাছে হাস্যকরে পরিণত হয়েছে। আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া তাদের নেত্রীর মুক্তি সম্ভব নয়। তথ্যমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন নিয়ে বলেন, আজ দেশের উন্নয়ন কিছু মানুষ মেনে নিতে পারছেন না। এডিবি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে, গত অর্থবছরে দেশের প্রবৃদ্ধি ছিলো ৮ দশমিক ১ শতাংশ, যেখানে আমাদের দাবি ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে, বিদ্যুতের ব্যবহার ৪০ শতাংশ থেকে এখন ৯৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে এখন দুই হাজার ডলার হয়েছে।
×