ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

আদালতে রিফাত হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেন মিন্নি

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ১৯ জুলাই ২০১৯

আদালতে রিফাত হত্যার স্বীকারোক্তি দিলেন মিন্নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা ॥ বরগুনার শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত প্রধান সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ৫ দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ার পূর্বেই দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩ টায় মঞ্জুরকৃত ৫দিনের রিমান্ডের তৃতীয় দিনে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার জবানবন্দি নেয়া শেষ হয়েছে। এনিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে এখন পর্যন্ত ১৩ জন আসামী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির নিকট থেকে তিনদিনের মধ্যেই তথ্য পাওয়ায় রিমান্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দি শেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আদালত থেকে বের হলে পুলিশি নিরাপত্তায় মিন্নিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয় বলে তিনি জানান। জবানবন্দি চলাকালিন আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সংবাদকর্মীদের জানান, মিন্নিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জবানবন্দি দেয়ার জন্য বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মামলাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটা মহল ষড়যন্ত্র করে মিন্নিকে গ্রেফতার করে নানামুখী হয়রানী করছে। গত ২৬ জুন রিফাতকে প্রকাশ্য সড়কে কুপিয়ে হত্যার সময় স্বামীকে বাঁচাতে মিন্নির চেষ্টার ভিডিও ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি সারাদেশে আলোচনায় উঠে আসে। পরদিন শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ ১২ জনকে আসামি করে যে মামলাটি করেন, তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকেই। রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তারা ১৬ জনকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করেছেন। মামলার প্রধান আসামী নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
×