ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গেন্ডারিয়া কাঁচাবাজারে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনার হাট!

প্রকাশিত: ১০:১৫, ২০ জুলাই ২০১৯

 গেন্ডারিয়া কাঁচাবাজারে অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনার হাট!

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া কাঁচাবাজারে বসে অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচার হাট। শুক্রবার সকালে অস্ত্র কেনাবেচা হবে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযানে চালিয়ে হাতেনাতে তিন অপরাধীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২/৩ জন অবশ্যই সটকে পড়ে। আটক রাজু গাজীর (৪৩) বাড়ি চাঁদপুরে, মিনহাজুল (২৮) খিলগাঁও এলাকায় থাকে। সে খিলগাঁও মডেল কলেজের স্নাতক শ্রেণীতে পড়ে। আর শওকতের (৩৮) বাড়ি টাঙ্গাইল। পুলিশী অভিযানে তাদের কাছ থেকে চারটি বিদেশী পিস্তল, দুটি বিদেশী রিভলবার, সাতটি ম্যাগজিন ও ১২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের ডিসি ইব্রাহিম খান এ কথা জানান। ইব্রাহিম খান জানান, শুক্রবার সকাল পৌনে আটটায় গেন্ডারিয়া কাঁচাবাজারে অভিযান চালিয়ে তিন দুর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা গেলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পায় ২/৩ জন পালিয়ে যায়। তবে তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। তিনি বলেন, গেন্ডারিয়া কাঁচাবাজারে অস্ত্র ব্যবসায়ীরা অস্ত্র লেনদেন করতে পারে এমন সংবাদ পেয়ে শ্যামপুর থানার ওসি মিজানুর রহমানের তত্ত্বাবধানে একটি মোবাইল টিম সেখানে পাঠানো হয়। আগ থেকে এসআই সোহাগ, এএসআই মাসুম বিল্লাহ ও কনস্টেবল মাহবুব ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন। পৌনে নয়টার দিকে সেখানে কিছু লোক আসে। চেয়ারে বসে। একজন ব্যাগ থেকে অস্ত্র নিয়ে কোমরে গোঁজে। পুলিশ সদস্যরা এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পালানোর সময় রাজু গাজী পিস্তল বের করে এসআই মাহবুবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। সৌভাগ্যক্রমে গুলি বের হয়নি। একই সময়ে এএসআই মাসুম বিল্লাহ শওকতকে ঝাপটে ধরে। শওকতের ব্যাগ থেকে ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে কনস্টেবল মাহবুব মিনহাজকে ঝাপটে ধরতে সক্ষম হন। অভিযানে চারটি বিদেশী পিস্তল, দুটি বিদেশী রিভলবার, সাতটি ম্যাগজিন ও ১২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ইব্রাহিম খান জানান, কারা এসব অস্ত্রের যোগানদাতা- অস্ত্রের উৎস কি? কোথা থেকে এত অবৈধ অস্ত্র আনা হয়েছে, তার তদন্ত হচ্ছে। তিনি জানান, উদ্ধার করা সব অস্ত্রই ছিল লোডেড। তিন কারণে অস্ত্রগুলো পুরান ঢাকায় ঢুকেছে ॥ সূত্র জানায়, সামনে কোরবানি পশুর হাট বসবে। হাটের আধিপত্য নিয়ে এসব অস্ত্র অপরাধীদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য একটি চক্র এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তারা অস্ত্র কেনাবেচার নিরাপদ স্থান হিসেবে গেন্ডারিয়া কাঁচাবাজারকে বেছে নেয়। ওয়ারী বিভাগের ডিসি ইব্রাহিম জানান, সকাল অস্ত্রের উৎস কী তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তে ও জিজ্ঞাসাবাদে স্পষ্ট হবে। তবে কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। তিনি জানান আটক শওকত ‘পাঠাও’ রাইডার। সে অপর একজনকে (পলাতক) খুব সকালে মিরপুর থেকে গেন্ডারিয়ায় নিয়ে আসে তবে এ্যাপস ব্যবহার না করেই। সে কন্ট্রাক্টে এসেছে বলে দাবি করেছে। তার দেয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
×