ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সবজির দাম বেড়েছে, পেঁয়াজ কমলেও মসলা কমছে না

প্রকাশিত: ১০:১৭, ২০ জুলাই ২০১৯

  সবজির দাম বেড়েছে, পেঁয়াজ কমলেও মসলা কমছে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অতিবৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে বেড়ে গেছে সবজির দাম। প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ জাত ও মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমেছে। দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির। তবে ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও আটার মতো অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম বেড়ে আর কমছে না। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, কাপ্তান বাজার, ফকিরাপুল বাজার এবং মুগদা বড় বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে, সবজি বিক্রেতারা বলছে, ভারি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে নষ্ট হয়ে গেছে ক্ষেতের সবজি। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও চড়া। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বেশির ভাগ সবজি এখন ৬০ টাকা কেজি। বেশি দামের মধ্যে রয়েছে বেগুন ৮০ টাকা, টমেটো ১২০, দেশী শসা ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাপ্তান বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিল জনকণ্ঠকে বলেন, দামের কারণে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষ গ্রাম গ্রাম হিসেবে কাঁচা মরিচ কিনছেন। বেশিরভাগ ভোক্তা আড়াই শ’ গ্রাম হিসেবে কাঁচা মরিচ কিনে নিচ্ছেন। ওই বাজারের সবজি ক্রেতা আকতার হোসেন জানান, গত কয়েক মাসের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি। আলু বাদে কোন সবজিই ৬০-৭০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। তিনি বলেন, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে মরিচের দাম কোথায় উঠবে সেটিই দেখার বিষয়। এদিকে, কোরবানি সামনে রেখে চলতি মাসের শুরু থেকে বাড়তি পেঁয়াজের দাম। প্রতিকেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। যদিও এ সপ্তাহ কিছুটা কমে ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এছাড়া আমদানিকৃত রসুন ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাড়তির দিকে দারুচিনি ও এলাচির দামও। আদা ও ডিম আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ক্রেতাদের অভিযোগ, কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ কারণে ভারতে সামান্য বাড়লেও দেশে দাম বাড়ার কোন কারণ নেই। কোরবানি সামনে রেখে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে ভোক্তারা। এছাড়া ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের সরবরাহ তেমন বাড়ছে না। এ কারণে ভোক্তাদের অতিদাম নিয়ে ইলিশ কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি হলেও স্বাদের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিটি মাঝারি সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে ১৮শ’ টাকা। এক কেজি সাইজের প্রতিটি ইলিশ দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। তবে বাজারে দেশীয় মাছের সরবরাহ বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পাবদা ৫০০-৬০০, তেলাপিয়া ১২০-১৮০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা) ছোটটি ৬০০-৭০০ টাকা, চিংড়ি (দেশী) মাঝারি সাইজের ৮০০-১০০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই, কাতলা ও মৃগেল জাতীয় কার্প মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
×