ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ১০:৪০, ২০ জুলাই ২০১৯

 বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতিকে দুর্নীতি হিসেবেই দেখব। সরল বিশ্বাস বলতে তিনি (দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ) কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা আমাকে জানতে হবে। তবে দুর্নীতি দুর্নীতিই। এটা অন্যভাবে দেখার উপায় নেই। শুক্রবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি প্রশ্নে সরল বিশ্বাস বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার হতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দুনিয়ায় দুর্নীতি হচ্ছে। তবে কোথাও বেশি কোথাও কম। কিছু পলিটিক্যালি মোটিভেটেড হচ্ছে। কোন নেতাকে যদি কেউ দেখতে না পারে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ছাপটা লাগিয়ে দেয়। জাতীয় পার্টির (জাপা) রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রধান বিরোধী দল, সংসদে তাদের অনেকগুলো আসন আছে। জনগণ তাদের ভোট দিয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছে। এরশাদের অবর্তমানে তাদের দলীয় রাজনীতি ও সাংগঠনিক রূপ কী হবে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। রাজনীতিতে তারাই টিকে থাকবে, যারা সময়োপযোগী রাজনীতি চর্চা ও যুগোপযোগী রাজনীতি করবে। বন্যা মোকাবেলায় দল ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার আন্তরিকভাবে বন্যা মোকাবেলায় কাজ করছে। আজকেও জামালপুর ও গাইবান্ধায় আমাদের প্রতিনিধি গিয়েছেন। আমাদের টিম বন্যাদুর্গত এলাকায় যাচ্ছে। দলীয় নেতাকর্মীদের বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা স্টেপ নিতে শুরু করেছি, প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্টে বলে গেছেন, পানিসম্পদ, নৌ-পরিবহন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীসহ যারা দায়িত্বে আছেন, তাদের নিয়ে টিম করতে হবে, সরকারীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট করছে সরকার-বিএনপির এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা তো কোন দিন উন্নয়ন করেনি। উন্নয়নের রোল মডেলের কী বুঝবেন ফখরুল সাহেবরা? ওনারা তো কালো চশমা পরেন। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চোখে দেখেন না। তারা নির্বাচনী ইশতেহারে যে ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছিল, সেটা এখন ডিপ ফ্রিজে ঢুকে গেছে। বিএনপির সাংগঠনিক কাজে সরকারী বাধার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপির কোথাও কোন সভায় পুলিশ বাধা দেয়নি। সবখানে তারা সভার অনুমতি পেয়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ বিএনপির কল্পিত। উপজেলায় বিদ্রোহী ও তাদের সমর্থনকারীদের শাস্তি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা তা যত কঠিনই হোক না কেন, আমরা প্রথমে কারণ দর্শাতে বলি। তিন সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে, কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না। সহযোগীদের মধ্যে যারা বিদ্রোহে ছিল বা সহায়তা করেছে, তাদের বিষয়েও সংশ্লিষ্ট সংগঠন থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
×