ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভুয়া জেলার ও চিকিৎসক সেজে প্রতারণা

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ২০ জুলাই ২০১৯

ভুয়া জেলার ও চিকিৎসক সেজে প্রতারণা

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ ॥ ভুয়া জেলার ও চিকিৎসক সেজে মোবাইল করে কারাবন্দী পরিবারের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সংঘবদ্ধ একটি প্রতারক চক্র। ময়মনসিংহ কারাগারের বন্দী নান্দাইলের এক ধর্ষণ মামলার আসামির পরিবারের কাছ থেকে এই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এই বিষয়ে আসামির শ^শুর শুক্রবার রাতে নান্দাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জানা গেছে, ২৪ জুন এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোবনে মোবাইলে ডেকে এনে ধর্ষণ করে উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী শামীম মিয়া (৩০)। পরদিন পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করে মামলা নিলেও অভিযুক্ত থাকে অধরা। ঘটনার ১৫ দিন পর র‍্যাব-১৪ এর একটি দল ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে শামীমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকে শামীম ময়মনসিংহ কারাগারে বন্দী রয়েছে। শামীমের শ্বশুড় ফাইজুল ইসলাম জানান, মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ওই নারী তাঁর মেয়ের জামাইকে ফাঁসিয়েছে। এ অবস্থায় ১৩ জুলাই সকালে এলাকার ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিনের কাছে ০১৯৫২-০৮৪৬২৬ নাম্বারে ফোন করে জানায়, তাঁর মেয়ের জামাই শামীম কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হবে। এতে জরুরী ভিক্তিতে ১ লাখ ১০ টাকা লাগবে। এর মধ্যে সরকার দিবে ৪০ হাজার টাকা আর বাকী ৭০ হাজার টাকা আধা ঘন্টার মধ্যে পাঠাতে হবে। অন্যথায় এর দায়ভার কেউ বহন করবে না। কামাাল উদ্দিন জানান, তিনি ওই মোবাইল পেয়ে ময়মনসিংহ জেল সুপার ও চিকিৎসকের মোবাইল নাম্বার চাইলে কিছুক্ষণ পর জেলসুপারের ০১৭৯৩-৪৮৬৩৩৮ ও চিকিৎসকের ০১৯৪৭-৫৩০০৮৬ দুইটি নাম্বার দেওয়া হয়। পরে ওই দুই নাম্বার কারাগারে থাকা শামীমের স্ত্রী দীপ্তি আক্তারকে দিলে তিনি কথা বলে তাদের (প্রতারক) দেওয়া ০১৮৫৪-৫৩৬১১০, ০১৩০৯৩৭৪৭০৪, ০১৭০৮৭৮৪৬০৬ এবং ০১৯৪১১২৩০৫৪ বিকাশ নাম্বারে পর্যায়ক্রমে ৭০ হাজার টাকা পাঠান। এরপর অপেক্ষা করেও ওইসব মোবাইল নাম্বার থেকে আর কোনো ধরনের সাড়া পাওয়া না যাওয়ায় ফের নাম্বারগুলিতে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এই বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার তৌহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, কারাগারে থাকা কোনো বন্ধী অসুস্থ হলে সরকারই চিকিৎসার ভার বহন করে। একটি প্রতারক চক্র ফাঁদ পেতে নিরীহ লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা বিভিন্ন সময় বন্ধীদেরকে সতর্ক করেছি।
×