ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংলাপে আহ্বান

সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ॥ চিকিৎসকদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ২১ জুলাই ২০১৯

 সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ॥ চিকিৎসকদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা বাস্তবায়ন করতে চিকিৎসকের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্যায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত পদ্ধতিতে কাজ করার মাধ্যমে সমস্যাগুলো মেটানো সম্ভব হবে। শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্যনীতি সংলাপ’- বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি থিংক ট্যাঙ্কের উদ্যোগে ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকারী স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসকের সুষম বণ্টন’ সংলাপে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ‘স্বাস্থ্যনীতি সংলাপ’ ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সমর্থিত, আইসিডিডিআরবি’র ‘স্ট্রেনদেনিং হেল্থ, এ্যাপ্লায়িং রিসার্চ এভিডেন্স (শেয়ার)’ প্রকল্পের উদ্যোগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম শুরু করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় চতুর্থবারের মতো স্বাস্থ্য বিষয়ক সংলাপটির আয়োজন করা হয়। সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বয় ও সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারী ড. মুশতাক হোসেন এবং সংলাপ সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ড. ইকবাল আনোয়ার। সংলাপে আলোচক হিসেবে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ ও অধ্যাপক ডাঃ এমএ ফয়েজ। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকারী স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসকের সুষম বণ্টন- চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবসম্মত সমাধান বিষয়ে আলোকপাত করেন আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ড. ইকবাল আনোয়ার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সরকারী খাতে স্বাস্থ্যসেবা মূলত শহরকেন্দ্রিক। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে চাহিদার বিপরীতে চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফসহ জনস্বাস্থ্যকর্মীর ব্যাপক সঙ্কট রয়েছে। এই সঙ্কটের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, তদারকি ও সুশাসনের কার্যকরী কাঠামোর অভাব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতার অভাব, সেবাদানকারীদের জন্য পর্যাপ্ত প্রণোদনার অভাব, প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকদের নাগরিক জীবনযাপনের ন্যূনতম সুযোগসুবিধা না থাকা। বিশেষ করে চিকিৎসকদের সন্তানদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব, অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেসরকারী হাসপাতালের সংখ্যাবৃদ্ধিসহ নানা সমস্যার প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসেবা খাতের অবস্থা প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে অনুমোদিত পদের বিপরীতে প্রায় ২০.৪ শতাংশ পদ খালি পড়ে রয়েছে, যা সার্বিকভাবে সরকারী খাতে এই চিকিৎসক সঙ্কট সৃষ্টি করছে। ড. ইকবাল আনোয়ার আরও বলেন, ৭৮৩ পদের বিপরীতে প্রায় ৪,৭৪৯ চিকিৎসক বিশেষ ভারপ্রাপ্ত (ওএসডি) পদে ঢাকা বিভাগেই নিযুক্ত আছে। এতে করে বাংলাদেশের জেলা শহরে সরকারী হাসপাতালগুলোর চিকিৎসক সঙ্কট মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
×