ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে লঞ্চে গার্মেন্টস কর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ২১ জুলাই ২০১৯

 বরিশালে লঞ্চে গার্মেন্টস কর্মীকে শ্বাসরোধে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা এমভি সুরভী-৮ লঞ্চ শনিবার ভোরে বরিশাল নদীবন্দরে নোঙ্গর করার পর লঞ্চের নিচতলার স্টাফ কেবিন থেকে আঁখি আক্তার (২৯) নামের এক গার্মেন্টস কর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম পিপিএম। নিহত আঁখি আক্তার নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী নগরীর আদমজী ইপিজেডের অনন্ত এ্যাপারেল্স লিমিটেডের একজন অপারেটর ও বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রি শিবপুরের বড়পুইয়াউটা গ্রামের বজলু বেপারীর কন্যা। নিহতের পিতা বজলু বেপারী জানান, আঁখির সঙ্গে আদমজী নগরীর এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি কন্যা রয়েছে। তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েনে সেই সন্তান তাদের কাছে (বাকেরগঞ্জে) থাকে। তিনি আরও জানান, জরুরী কাজের জন্য শুক্রবার রাতে এমভি সুরভী-৮ লঞ্চযোগে আঁখি সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয়। লঞ্চে ওঠার সময় একবার তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। শনিবার সকালে সে (মুক্তা) যথাসময়ে বাড়িতে না ফেরায় ও মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তারা আঁখির সন্ধানে নামেন। পরে বরিশাল লঞ্চঘাটে এসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে তার (আঁখি) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুরভী-৮ লঞ্চের সুপারভাইজার মেজবাহ উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে লঞ্চের নিচতলার স্টাফ (লস্কর) কেবিনে ওঠেন আঁখি আক্তার। এ সময় তার সঙ্গে এক যুবক ছিল। রাতে ওই দু’জন দু’টি ডেক টিকিটও সংগ্রহ করেছেন। শনিবার সকালে লঞ্চ ঘাটে পৌঁছলে স্টাফরা ওই কেবিনে গিয়ে আঁখিকে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন। পাশাপাশি তার সঙ্গী ওই যুবকের সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। জয়পুরহাট নিজস্ব সংবাদদাতা জয়পুরহাট থেকে জানান, পাঁচবিবি উপজেলার শেকটা গ্রামে চাচাত ভাইয়ের লাঠির আঘাতে জিয়াউল হক (৪৫) নামে একজন খুন হয়েছেন। নিহত জিয়াউল হক পাঁচবিবি উপজেলার শেকটা গ্রামের মৃত জায়মুদ্দিনের ছেলে। পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনসুর রহমান জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির ওপর দিয়ে বিদ্যুতের তার টানাকে কেন্দ্র করে আজিজুল ইসলামের সঙ্গে জিয়াউল হকের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আজিজুল লাঠি দিয়ে জিয়াউলের মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন, এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে জিয়াউল হকের অবস্থার অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজে নেয়ার পথে শনিবার তার মৃত্যু হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার নিহতের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে প্রতিপক্ষের ধাওয়াায় উছমান মিয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। সে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের সাতবর্গ গ্রামের মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারে লোকজন জানায়, উছমানের সঙ্গে সাতবর্গ গ্রামের ফরহাদ মিয়া, নান্নু মিয়া, জমসেদ মিয়া ও জাবেদ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পুকুর ও জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠক হলেও বিষয়টির মীমাংসা হয়নি। এ বিরোধের জের ধরে শুক্রবার রাতে বাড়ির পাশের্^র সড়কে উছমান মিয়াকে একা পেয়ে ফরহাদ মিয়া, নান্নু মিয়া, জমসেদ মিয়া, জাবেদ মিয়া মারধর করে।
×