ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘আগস্টের মধ্যে মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার সৃষ্টির পথ উন্মুক্ত হবে’

প্রকাশিত: ১০:২২, ২১ জুলাই ২০১৯

 ‘আগস্টের মধ্যে  মালয়েশিয়ায়  শ্রমবাজার  সৃষ্টির পথ  উন্মুক্ত হবে’

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২০ জুলাই ॥ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, শ্রমবাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। মালয়েশিয়ার বাজার খোলার প্রথম ধাপ ইতোমধ্যে আমরা পেরিয়েছি। সেখানে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের ফেরত আসার পথ উন্মুক্ত হয়েছে এবং ১ আগস্ট থেকে ফেরত পাঠানোর জন্য তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মালয়েশিয়ায় প্রবেশের পথ এখনও উন্মুক্ত না হলেও সেখানে আগস্ট মাসের মধ্যেই শ্রমবাজার সৃষ্টির পথ উন্মুক্ত হবে। শনিবার দুপুর ১২ টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়া থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত আসতে আগে জরিমানা দিতে হতো তিন হাজার রিঙ্গিত। আমাদের সুপারিশে তারা এখন সাত শ’ রিঙ্গিতের বিনিময়ে ওখান থেকে বের হওয়ার ব্যবস্থা করেছে। অবৈধ পথে বিদেশে যাওয়া এবং পথে পানিতে ডুবে বা অন্য কোনভাবে মারা যাওয়ার বিষয়টিকে হত্যার সঙ্গে তুলনা করে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই আতঙ্কিত। কারণ, এরা কেউ একা যায় না, সংগঠিতভাবে যায়। যারা এজেন্ট বা দালাল আছে, এরাই এই যাওয়ার ব্যবস্থাটা করে দেয় এবং এরাই এসব ঘটনার জন্য দায়ী। আমার দেশের একটা নাগরিকও এভাবে বিদেশে মারা যাক, এটা আমরা চাই না। মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি শুধু মন্ত্রণালয় বা একা মন্ত্রীর পক্ষে সামাল দেয়া সম্ভব নয়। যেসব যুবক অবৈধভাবে বিদেশের পথে পা বাড়ায় তাদের অধিকাংশই আমাদের গ্রাম-গঞ্জের। তাদেরকে কেউ উদ্বুদ্ধ করে নিয়ে যায়। এমন ধরনের মানুষকে পেলে তাকে ধরা হবে। এ ব্যাপারে ডিসিদেরও জানানো হয়েছে। কেউ বৈধ পথে গেলে তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। কিন্তু অবৈধপথের সহযোগিতাকারী শয়তানদের পেলেই ধরা হবে। বিদেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে আমাদের মা-বোনদের নানা হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এ বিষয়ে মন্ত্রী জানান, আমাদের দেশের মেয়েরা সেখানে যাওয়ার আগে সঠিকভাবে কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণ নিয়ে গেলে সমস্যাগুলো থাকবে না। এর আগে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেন এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সেখানে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত শেষে জাতির পিতার কবর জিয়ারত করেন। এ সময় ওয়েজ-আর্নার কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক কাজী জুলহাস, বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী, যুগ্ম-সচিব জাহিদ হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
×