ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী সপ্তাহ থেকে জমে উঠবে বেচাকেনা

উত্তরাঞ্চলের হাটগুলোতে কোরবানির পশুর বিপুল সরবরাহ

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২১ জুলাই ২০১৯

  উত্তরাঞ্চলের হাটগুলোতে কোরবানির পশুর বিপুল সরবরাহ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ রাজশাহী ও বগুড়ার কোরবানির হাটগুলোতে যথেষ্ট সংখ্যক পশু পৌঁছেছে। এসব জেলার হাটগুলোতে আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধাগুলোও নিশ্চিত করা হয়েছে। রাজশাহীতে দেশী গরুর সরবরাহ কম। বিক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হলেও ক্রেতার অভাবে এখনও হাটগুলো জমে ওঠেনি। খবর স্টাফ রিপোর্টারের। স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, রাজশাহীর হাটে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। বিশেষ করে হাটগুলোয় দেখা মিলছে দেশী গরুর। ইজারাদাররা বলছেন রাজশাহীতে কোরবানির হাট জমে উঠতে আরও সময় লাগবে। আগামী সপ্তাহ থেকে বাইরের পাইকাররা আসতে শুরু করার পরই জমে উঠবে কেনাবেচা। আগামী ১২ আগস্ট পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। সে অনুযায়ী ঈদের বাকি এখনো ২০ দিন। এরই মধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদের আবহ। ঘরে ঘরে কোরবানি নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে। আগাম তৎপরতা শুরু করেছেন গরু ব্যবসায়ী হাটের ইজারাদাররা। বেশিরভাগ কোরবানিদাতার আগ্রহ দেশী গরুর প্রতি হলেও এবার রাজশাহীতে দেশী গরুর সুখবর নেই। এবারও রাজশাহী জেলায় কোরবানির পশুর ঘাটতি রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালে একেবারে শেষ মুহূর্তে বানের পানির মতো ভারতীয় গরু আসায় কাক্সিক্ষত দাম পায়নি স্থানীয় খামারি আর বাড়িতে লালন পালনকারীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকসান গুনতে হয়েছে। এরপর গোন্ডাচারণ ভূমি না থাকা, খাদ্যের দাম বেশি এবং বিভিন্ন কারণে খামার কমে যাওয়ায় কাক্সিক্ষত পশু উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। রাজশাহী প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে চারলাখ সাড়ে ৪ হাজার। জেলার নয়টি উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় সতেরো হাজার সাত শ’ খামার রয়েছে। গতবার জেলায় পশু কোরবানি হয়েছিল তিন লাখ ৯৬ হাজার ৫১৯। যার মধ্যে গাভী ও বকনা দুই হাজার ৯৮১, ষাঁড় ও বলদ ৭১ হাজার ২৫৬, মহিষ ৭৪৫, ছাগল তিন লাখ ১৭ হাজার ৬৯৪ ও ভেড়া তিন হাজার ৮৪৩। স্টাফ রিপোর্টার জানান, বগুড়ার প্রতিটি উপজেলায় গরুর খামার গড়ে উঠেছে। বগুড়া প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের এক হিসাব, এই সংখ্যা সাড়ে ১৭ হাজারেরও বেশি। প্রায় ২ লাখ গরু পালন করা হচ্ছে। কোথাও দেশীয় গরুর সঙ্গে বিদেশী গরু আছে। সবচেয়ে বেশি খামার আছে সদর উপজেলায় ২ হাজার ৩শ’। যেখানে গরু মোটাতাজাকরণ হচ্ছে ৩০ হাজারেরও বেশি। সাবগ্রামের একটি খামারে দেশী গরুর সঙ্গে বিদেশী ব্রাহাম, শিবাবি, নেপালী ও দেশাল জাতের গরু আছে।
×