ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উন্নত চিকিৎসা লাগবে সাইফউদ্দিনের

প্রকাশিত: ১১:০০, ২১ জুলাই ২০১৯

  উন্নত চিকিৎসা লাগবে সাইফউদ্দিনের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পিঠের ব্যথা নিয়ে অনেকদিন ধরেই ভুগছেন। তবে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের মতো পেস অলরাউন্ডার বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য অপরিহার্য সদস্যই ছিলেন। খেলার জন্য তাই ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন গ্রহণ করেছেন। সেই ব্যথাটা এখন বেড়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা সফরের দল থেকে ছিটকে গেছেন ২২ বছর বয়সী এ পেস অলরাউন্ডার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হবে সাইফউদ্দিনকে। সেই চিকিৎসা শুরু করার আগে প্রায় ৩ সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে হবে। সাইফউদ্দিনের ইনজুরিটি স্বাভাবিক ধরনের। পিঠে যে ধরনের ইনজুরিতে ভুগছেন তিনি তার নাম- ল্যাম্বার স্পাইন ফ্যাসেট জয়েন্ট সিনড্রোম। এই ধরনের ইনজুরিতে পিঠে নিয়মিতই ব্যথা থাকে। এ কারণে বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ইঞ্জেকশন নিয়েই খেলেছেন। বিশ্বকাপেও প্রায় সময় পিঠের ব্যথায় ভুগেছেন সাইফউদ্দিন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারেননি। বাকি ম্যাচগুলোয় পিঠের ব্যথাকে ইঞ্জেকশন নিয়ে উপশম করে খেলেছেন। কিন্তু সেই পুরনো ইনজুরিতেই এবার দেশ ছাড়ার আগেরদিন শ্রীলঙ্কা সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন। দেবাশীষ জানিয়েছেন সাইফউদ্দিনের এ ইনজুরিটির চিকিৎসা বেশ দীর্ঘমেয়াদী। আপাতত ৩ সপ্তাহ পুরোপুরি বিশ্রামে থাকতে হবে। এরপর চিকিৎসা শুরু হবে। তার চিকিৎসার তিনটি পদ্ধতি বোর্ডকে জানিয়েছেন দেবাশীষ। দেবাশীষ বলেন, ‘বোলারদের জন্য খুব স্বাভাবিক চোট এটা। অস্ত্রোপচারে এটা ভাল হবে না। খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিন ধরনের চিকিৎসা আছে। সেগুলো ঠিকঠাক করে করতে পারলে ব্যথা কমিয়ে খেলা সম্ভব হবে।’ যে ৩ ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির কথা বলেছেন দেবাশীষ তার সবগুলোই দীর্ঘমেয়াদী। প্রথম উপায় বোলিং পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা। দেবাশীষের মতে এটি বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কারণ দীর্ঘদিন পর টেকনিক্যাল কারেকশন বেশ জটিল। সে জন্য বায়ো মেকানিক্যাল এ্যাসেসমেন্ট করতে হবে অস্ট্রেলিয়া বা ইংল্যান্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে। দ্বিতীয় পদ্ধতি ইঞ্জেকশন দিয়ে যাওয়া। তবে বারবার ইঞ্জেকশন দেয়া হলে সেটার ক্ষতিকর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তৃতীয় পদ্ধতি রেডিওফ্রিকোয়েন্সি এ্যাব্লেশন করানো। এ বিষয়ে দেবাশীষ বলেন, ‘আমরা ওর জন্য এমন একটা চিকিৎসার চেষ্টা করছি যেটায় ক্ষতি কম হবে, কিন্তু ব্যথামুক্ত থাকবে অনেকদিন। এটায় কোন ক্ষতি নেই, কিন্তু বেশিদিন কার্যকর। তবে আমাদের দেশে সম্ভব না। এই তিন ধরনের চিকিৎসার কথা আমরা জানিয়েছি। ওর মূল সমস্যা ব্যথা। ব্যথা বাড়ছে মানে সমস্যা বাড়ছে, ব্যথা নেই মানে ওর কোন সমস্যা নেই। আপাতত তিন সপ্তাহের পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে তাকে। শুধু ওর পুনর্বাসনের জন্য হাল্কা ব্যয়াম চলবে। তবে রানিং ও বোলিং এই সময়ে পুরোপুরি নিষেধ। এরপর অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
×