ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২১ জুলাই ২০১৯

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বেইলী ব্রিজ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলে গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি কমলেও ধলেশ্বরী, ঝিনাই ও লৌহজং নদীর পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এদিকে পৌলী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়কের শ্যামপুর ডাইভারসন ভেঙে গেছে। এতে করে বাংড়া, সহদেবপুর ইউনিয়ন ও এলেঙ্গা পৌরসভার অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া এলেঙ্গা-ভূঞাপুর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত দেবনাথ জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাসমত আলী জানান, এ ঘটনায় বেশকিছু গ্রাম পুরোটা ও আংশিকভাবে নতুন করে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এদিকে জেলার দক্ষিনের উপজেলা নাগরপুর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ অফিসের তথ্য মতে, বন্যায় নাগরপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অন্তত ৫০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে উপজেলার সলিমাবাদ-ধুবড়িয়া সড়কের তেবাড়িয়া কালীবাড়ি বেইলী ব্রিজ পানির ¯্রােতে ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া নাগরপুর-চৌহালী, নাগরপুর-ধল্লা, নাগরপুর-বাটরা সড়কসহ উপজেলার সাথে বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়কে বন্যার পানি উঠে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ঝুকিতে রয়েছে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক ও নাগরপুর-মির্জাপুর ও মোকনা সড়ক। এ সকল সড়কে বন্যার পানি উঠে যেকোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঢাকার সাথে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা। নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, প্লাবিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেছি। তাদের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠার পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়া তাদের মাঝে শুকনো খাবার, চাল, ডাল বিতরণ করেছি। তিনি ধৈর্য্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহবান জানান।
×