ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঠুমরীর রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীতে মুগ্ধ দর্শকশ্রোতা

প্রকাশিত: ০৭:১৬, ২২ জুলাই ২০১৯

 ঠুমরীর রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীতে মুগ্ধ দর্শকশ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে সম্প্রতি জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ঠুমরীর উদ্যোগে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিল্পী কামাল আহমেদ, শিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী, শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী এবং শিল্পী আফসানা রুনা সঙ্গীত পরিবেশন করে উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকদের মুগ্ধ করেন। বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কামাল আহমেদের গাওয়া ‘ছায়া ঘনাইছে বনে বনে’ গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দর্শক শ্রোতাদের গভীর মুগ্ধতায় কামাল আহমেদ একে একে গেয়ে শোনান ‘নিশি না পোহাতে’, ‘আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ’, ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ ও ‘আকাশ ভরা সূর্যতারা’ শিরোনামের গান। বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী ইয়াসমিন মুশতারী ‘তুমি কোন পথে এলে’ গানটি দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন। তিনি একে একে গেয়ে শোনান ‘পরদেশী মেঘ’, ‘গোঠের রাখাল’, ‘সেদিন ছিল গোধূলী লগন’ ও ‘তরুণ প্রেমিক’ শীর্ষক গান। এরপর বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী ‘আমার খেলা যখন’ গানটি দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন। তিনি একে একে গেয়ে শোনানÑ ‘জীবনে আমার যত আনন্দ’, ‘আরও কত দূর’, ‘পূব হাওয়াতে দেয় দোলা’ ও ‘ও ভাই কানাই’। বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী আফসানা রুনা ‘সুরেও বাণীর মালা দিয়ে’ গানটি দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন। তিনি একে একে পরিবেশন করেন ‘নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি জল’, ‘রিম ঝিম রিম ঝিম ঘন দেয়া বরষে’, ‘কেন দিলে এ কাটা যদি গো কুসুম দিলে’, ‘চৈতালী চাদিনী রাতে’ শিরোনামের গান। সন্ধ্যা ৬-৪৫ মিনিটে শুরু হয় রাত ৯-২০ মি. পর্যন্ত দর্শকশ্রোতাদের মুগ্ধতায় এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এ অনুষ্ঠান দর্শকশ্রোতারা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন ঠুমরীর সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীত প্রশিক্ষক ও শিল্পী আফসানা রুনা। এরপর ঠুমরীর সভাপতি বিশিষ্ট সঙ্গীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম দর্শকশ্রোতাদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সুজেয় শ্যাম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, খুরশীদ আলম, শেলু বড়ুয়া, শাহজাহান পাটোয়ারী, রওশন আরা সোমা, বাবুল রেজা, বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক সায়েদ মোস্তফা কামাল ও সারগাম সম্পাদক কাজী রওনক হোসেনসহ অনেকে। ঠুমরী আয়োজিত এটি ছিল দ্বিতীয় অনুষ্ঠান। পরিপূর্ণ মিলনায়তনে পিনপতন নিরবতায় দর্শকশ্রোতারা গুণী ৪ শিল্পীর হৃদয়স্পর্শী, মনোমুগ্ধকার ও আবেগী পরিবেশনা উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যন্ত সব দর্শকশ্রোতা শিল্পীদের পরিবেশনার গুণে সঙ্গীতে নিমগ্ন হয়ে মিলনায়তনে অবস্থান করেন। ঠুমরীর এই রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তীর অনুষ্ঠান দর্শকশ্রোতাদের মনে বহুদিন স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকবে।
×