ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গান্ধী আশ্রম দর্শন ॥ ঝর্ণা ধারা চৌধুরী স্মরণে

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ২২ জুলাই ২০১৯

  গান্ধী আশ্রম দর্শন  ॥ ঝর্ণা ধারা চৌধুরী স্মরণে

দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের সদ্য প্রয়াত সচিব ঝর্ণা ধারা চৌধুরী স্মরণ সভাতে যোগদানের জন্য নোয়াখালী যাওয়ার আন্তরিক আমন্ত্রণ জানালেন। আমি রাজি হলাম। গান্ধী আশ্রমে যাওয়ার ইচ্ছা অনেক দিনের। সুযোগ-সুবিধা হয়ে ওঠেনি। ১২ জুলাই ’১৯, শুক্রবার ঝর্ণা ধারা চৌধুরীর স্মরণ সভা ছিল গান্ধী আশ্রমের স্কুল মাঠে। প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সম্মানিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। সভাপতি ছিলেন ট্রাস্টের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বদেশ রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, আমিসহ কয়েক আমন্ত্রিত অতিথি। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছিল। সেদিনও সকাল থেকে বৃষ্টি ঝরছিল। এর মাঝেও সকল অতিথি বৃন্দ এসেছিলেন। স্বদেশ রায় অত্যন্ত যত্ন ও আন্তরিকতার সঙ্গে সমস্ত আয়োজন করেছেন। স্থানীয় জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও ট্রাস্টের অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন। রিভা গাঙ্গুলীকে দেখে মনে হলো এখানকারই মেয়েÑ সকলের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মেলা মেশা করলেন। ঢাকার বাইরে- এ ধরনের মানসম্মত আয়োজন বিরল। স্থানীয়রাও আগ্রহভরে এসেছে। সভাস্থল ছিল ভরপুর। বিশিষ্ট সমাজকর্মী ঝর্ণা ধারার জন্ম ১৯৩৮ সালের ১৫ অক্টোবর লক্ষ্মীপুরে। মাত্র ৮ বছর বয়সে নোয়াখালী অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় ঝর্ণা ধারা আসামে চলে যান। এ সময় তাঁদের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় এবং বেশ কয়েক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনকে হত্যা করা হয়। ঝর্ণা ধারা পড়ে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তাঁর গ্রামে ফিরে আসেন এবং নিজেকে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদন করেন। ১৭ বছর বয়সে তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য স্কুল পরিচালনা শুরু করেন। তাঁরা দুই বোন সপ্তাহে দু’দিন উপোস করে অর্থ বাঁচিয়ে শিশুদের জন্য বই ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় করতেন। কয়েক বছর পর স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায় এবং তখন ঝর্ণা ধারা পুরোপুরি নিজেকে সমাজকর্মী হিসেবে নিয়োজিত করেন। এ সময় থেকে তিনি নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকা-চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকায়Ñ নানা সামাজিক কাজে যুক্ত হন। অন্য গান্ধী অনুসারীদের মতো তিনিও তাঁর কাজে সম্পূর্ণ নিয়োজিত থাকার জন্য নিজ সংসারবিহীন একাকী জীবনযাপন করেন। ১৯৯০ সালে ঝর্ণা ধারা গাজী আশ্রম ট্রাস্টের সচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি আরও উৎসাহ নিয়ে নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে বেড়ান। বিশেষ করে দলিত সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করেন। তাঁর ত্যাগী অসাধারণ কল্যাণকর্মী সামাজিক কাজের জন্য তিনি স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের মর্যাদাবান পদ্মশ্রী (২০১৩), বাংলাদেশের একুশে পদক (২০১৫), বেগম রোকেয়া পদক (২০১৩)সহ নানা সম্মানে ভূষিত হন। আমরা ঝর্ণা ধারা চৌধুরীর স্মৃতি ও কর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি ২০১৯ সনের ২৭ জুন ৮০ বছর বয়সে শেষ নিশ^াস ত্যাগ করেন। ভারতের জাতির পিতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ১৮৬৯ সনের ২ অক্টোবর ভারতের গুজরাটের পরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। ১৮ বছর বয়সে ১৮৮৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আইনশাস্ত্র পড়ার জন্য ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে যান। পড়া শেষে তিনি ভারত ফিরে আসেন। কিন্তু অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আইন পেশা নিয়ে প্র্যাকটিস করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়রা বর্ণ বৈষম্য এবং অবিচারের শিকার হন। গান্ধী এর প্রতিবাদে অহিংস আন্দোলন গড়ে তোলেন। এর জন্য গান্ধীকে নানা অত্যাচার এবং প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করতে হয় এমনকি জেলে যেতে হয়। ২১ বছর পর গান্ধী ভারতে ফিরে আসেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসার পর গান্ধী সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণ-বৈষম্য দূরীকরণ, জাতির অথনৈতিক সচ্ছলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার শুরু করেন। এর সবই ছিল স্বরাজ অর্থাৎ ভারতকে বিদেশী শাসন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে। ১৯৩০ সালে গান্ধী ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ডান্ডি লবণ পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন, ইংরেজ শাসকদের প্রতি সরাসরি ভারত ছাড়ার আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারনে বেশ ক’বার দক্ষিন আফ্রিকা এবং ভারতে কারাবরণ করেন। মহাত্মা গান্ধী সমস্ত পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ এবং সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন। তিনি অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। তার নিজের পরিধেয় কাপড় ধুতি নিজেই চরকায় বুনতেন। তিনি সাধারণ নিরামিষ খাবার খেতেন। মহাত্মা গান্ধী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক এবং সকল ধর্মের প্রতিই ছিল তাঁর শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস। তিনি সকল বড় ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে গান্ধীর অস্ত্র ছিল অসহযোগ এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ব্রিটেন ভারতের স্বাধীনতা প্রদানের ইঙ্গিত দিয়েছিল। ধর্মের ভিত্তিতে ভারত বিভাগ নিয়ে অনেক আলোচনা-পর্যালোচনা রয়েছে কিন্তু মহাত্মা গান্ধী ছিলেন ভারত বিভাগের বিরুদ্ধে। তিনি বিশ্বাস করতেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন হিন্দু-মুসলমানদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান সম্ভব। অবশেষে ধর্মের ভিত্তিতে ১৯৪৭ এ ভারত বিভক্ত হয়ে ভারত এবং পাকিস্তান দুটো স্বাধীন রাষ্ট্র হলো। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি হিন্দু মৌলবাদী নাথুরাম গডসে রাতকালীন পথসভা চলাকালে গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করে। ১৯৪৬ এর শেষ ভাগে সারা ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে পড়ে। তখন পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার প্রভাব এসে পড়ল নোয়াখালী অঞ্চলে। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর জেলায় রামগঞ্জ থানায় সাম্প্রদায়িকতার তান্ডবলীলা দেখা দেয়। মশালের আগুনে পুড়ে যায় বহু বাড়ি-ঘর, সবুজ প্রান্তর লাল হয়ে যায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রক্তের প্লাবনে। তখন অহিংস ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির অগ্রদূত মহাত্মা গান্ধী ছুটে আসেন নোয়াখালীতে। ১৯৪৬ সালের ৭ নবেম্বর চৌমুহনী রেলস্টেশনে প্রথম মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীর মাটিতে পদার্পণ করেন। সেখানে প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে গান্ধী প্রথম বক্তৃতা করেন। তার পর দত্তপাড়ায় দ্বিতীয় জনসভা। এভাবে চলতে থাকল গান্ধীর শান্তি মিশন- গ্রাম থেকে গ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার কার্যক্রম নিয়ে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারি তিনি জয়াগ গ্রামে এসে পৌঁছেন। সেদিনই নোয়াখালী জেলার প্রথম ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ তার জমিদারির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জনকল্যাণ খাতে ব্যয়ের উদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধীকে দান করেন। গান্ধী ‘অম্বিকা-কালিগঙ্গা দাতব্য ট্রাস্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। ট্রাস্ট পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় গান্ধীজীর স্নেহভাজন, জনসেবা ব্রতী, চিরকুমার চারু চৌধুরীর ওপর। তখন থেকে উক্ত সম্পত্তি সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় অধিবাসীদের ভাগ্যোন্নয়নের কার্যক্রম শুরু হয়। মহাত্মা গান্ধী চার মাস ধরে নোয়াখালীর বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাঁর শান্তি মিশন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের পর ধর্মাশ্রয়ী পাকিস্তান সরকার ট্রাস্টের কর্মকা- বাধাগ্রস্ত করে। গান্ধীর অনুসারীরা বেশিরভাগ জেল নির্যাতনের শিকার হয়। ট্রাস্টের সম্পত্তি ভূমিদস্যু এবং অসামাজিক ব্যক্তিদের দখলে চলে যায়। ট্রাস্টের সচিব চারু চৌধুরী বেশ কয়েকবার কারাবন্দী হন। পরিশেষে ১৯৬৩-১৯৭১ পর্যন্ত টানা কারানির্যাতন ভোগ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি কারামুক্ত হন এবং ট্রাস্টের কর্মকান্ড পুনরায় চালু করেন। তখন অম্বিকা-কালীগঙ্গা দাতব্য ট্রাস্টের নাম পরিবর্তন করে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট করা হয়। এর পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ এবং ভারত সরকার যৌথভাবে একটি কমিটি গঠন করে। বর্তমানে ট্রাস্টের কার্যক্রম নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী এবং কুমিল্লা জেলার নয়টি উপজেলায় বিস্তৃত। এর মধ্যে ১,২৫,০০০ দরিদ্র পরিবার প্রত্যক্ষভাবে এবং ১২ লাখ পরিবার পরোক্ষভাবে ট্রাস্টের সহযোগিতা পাচ্ছে। বর্তমানে ট্রাস্ট যে সব কার্যক্রমে নিয়োজিত তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠান নির্মান, মানব সম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা, সচেতনতা বৃদ্ধি, কৃষি, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য সচেতনতা, মানবাধিকার, মহাত্মা গান্ধী তথ্য কেন্দ্র, চরকা (হস্তশিল্প), গান্ধী জাদুঘর, গবেষণা, প্রকাশনা, জরুরী ত্রাণ এবং পুনর্বাসন। এর পাশাপাশি এ রকম দেশ-বিদেশের মানুষের আগ্রহের একটা গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান নানা সমস্যা ও সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর অনেক জমিজমা ভোগ দখল করে আছে স্থানীয়ভাবে। আশ্রমের সকল কার্যক্রমের মধ্যে একটু ধীরগতি এবং কিছুটা অবহেলা লক্ষ্য করা গেছে। অথচ এটি হতে পারে অবিভক্ত ভারত বর্ষের ইতিহাস চর্চার কেন্দ্র। ভারত বর্ষের স্বাধীনতার সকল আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব বাংলার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা মহাত্মা গান্ধীর জীবন কর্ম, আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজম্ম পৌঁছে দেয়া সকলের দায়িত্ব। এ কেন্দ্র হতে পারে গান্ধীজীর আদর্শ চর্চা, গবেষণার প্রাণকেন্দ্র। এ কেন্দ্র ঘিরে হতে পারে বাংলাদেশ-ভারত সরকার ও জনগণের মৈত্রী বন্ধন আরও সুদৃঢ়। তাই বাংলাদেশ ভারতের উভয় সরকারের কাছে গান্ধী আশ্রমের কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং কার্যকর করার জন্য বিশেষ দৃষ্টিদানের জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি। এ লক্ষ্যে কিছু প্রস্তাব পেশ করছি - ১. অবিলম্বে গান্ধী আশ্রমের দখলকৃত জমি উদ্ধার করতে হবে। ২. মহাত্মা গান্ধীর নামে একটি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে যেভাবে রবীন্দ্র এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে। ৩. দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আগ্রহ মেটাতে একটি পর্যটন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ৪. গান্ধী জাদুঘর, পাঠাগার আরও উন্নত এবং সমৃদ্ধ করতে হবে। ৫. সকল সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি আধুনিক গবেণা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। নবনিযুক্ত ট্রাস্টের চেয়ারম্যান স্বদেশ রায় দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ট্রাস্টের উন্নয়ন এবং কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য নানামুখী চিন্তা- ভাবনা ও কর্মকৌশল নির্ধারণের চেষ্টা করছেন। সেক্ষেত্রে উভয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, স্থানীয় জেলা-উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং দেশের সচেতন সমাজ গান্ধীর স্মৃতি এবং আদর্শ সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে গান্ধী আশ্রমকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য সকলের সক্রিয় ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। লেখক : সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়
×