ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নিয়ে বিদেশে প্রথম পা

প্রকাশিত: ০৮:৪৯, ২২ জুলাই ২০১৯

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নিয়ে বিদেশে প্রথম পা

১৮ সালেই বার্সিলোনা ভ্রমণের পর রাষ্ট্রীয় কাজে একবার জাপানও গিয়েছিলাম। এক বছরে এমন দুটি লম্বা সফর এর আগের খুব সাম্প্রতিককালে আমি করিনি। ১৮ সালের অভিজ্ঞতায় ২০১৯ সালেতো নিজেই উদ্যোগী হয়ে মোবাইল বিশ্ব কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ফিরলাম। এছাড়া আমি স্বল্প সময়ের জন্য সরকারী সফরে থাইল্যান্ড সফর করি। এবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় তথ্যসমাজ সামিটে যোগ দিয়েছি। কথা ছিল মে মাসের প্রথম দিকে জাপান আইটি উইকে যাব। কিন্তু সেটি হয়নি। চীনেও যাবার কথা ছিল মে মাসে। কিন্তু মে মাসে চীনেও যাইনি। এর মাঝে সিঙ্গাপুর ঘুরে এসেছি। তবে এটি স্বীকার করতেই হবে যে- সকল ভ্রমণের মাঝে প্রথম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ ছিল ১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। উইসিস ফোরাম ১৯ এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারাটা অবশ্যই সেরাদের সেরা। সেই সফরটি আমার জন্য ছিল অসাধারণ এক অভিজ্ঞতার। তবে এটি সত্য, যে কটি সরকারী ভ্রমণ করেছি তা একদিকে আমার নিজেকে নতুন জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেছে অন্যদিকে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে নীতি নির্ধারণে অসাধারণ সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে সারা পৃথিবীর অভিজ্ঞতা, ভুলভ্রান্তি, নীতি ও কর্মপন্থার সঙ্গে আমরা আমাদের পথচলাকে মিলিয়ে নিতে পারায় ভুল ত্রুটি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়ে চলছে। ২০১৮ সালে যখন প্রথমবারের মতো বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেসে যোগ দেবার আমন্ত্রণ এসেছিল তখন আমার জন্য এটি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে- মন্ত্রী হিসেবে সেখানে উপস্থিত থাকতেই হবে। এর আগে এত বার বাইরে গেছি কখনও মনে হয়নি একটি রাষ্ট্রীয় বোঝা আমার ঘাড়ে আছে। যতই ভেবেছি ততোই দেখেছি যে নিজের মাঝে একটা বিশাল চাপ অনুভব করছি। মাথায় বার বার এটি কাজ করেছে যে, এখানে আমি কি বলব, কি করব, কোন আলোচনা করব তার সবকিছুই আমার ব্যক্তিগত নয়। অস্থিরতাও কাজ করছিল যে রক্তে গড়া দেশটিকে সর্বত্র সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারব কিনা। অতীতে কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় কাজটি তো চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠবে তাতে আমার কোন সন্দেহ ছিল না। এবার আমি দারুণ আশাবাদী ছিলাম। বিষয়টি যেহেতু আমার পছন্দের সেহেতু একদিকে সুযোগ তৈরি হয়েছিল নিজের মনোভাব সারা দুনিয়ার কাছে তুলে ধরার, অন্যদিকে এটিও ভাবনায় এসেছিল যে- কাজটি সঠিকভাবে করতে পারব কিনা। কম্পিউটার বিষয়ে দেশে কাজ করছি ৮৭ সাল থেকে। বিদেশেও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে আসছি। বিশ্বের বৃহত্তম কম্পিউটার মেলা সিবিট বা ম্যাক ওয়ার্ল্ড এ অংশ নিয়েছি। এসোসিও এবং উইটসার অনেক সভাতে যোগ দিয়েছি। দেশে অসংখ্য সভা, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশ নিয়েছি। বাংলাদেশের হয়ে কথা বলেছি। কিন্তু এই যাত্রাই ছিল সেই যাত্রা যে যাত্রায় প্রথমবারের মতো আমার মুখ দিয়ে রাষ্ট্র কথা বলছিল- আমার আচরণ রাষ্ট্রের প্রতিফলন ঘটাচ্ছিল। প্রথম মুহূর্ত থেকেই মাথায় সেই ভাবনাটি নিয়ে চলেছিলাম। বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেস : যে প্রতিষ্ঠানটি এই বিশ্ব সম্মেলনটির আয়োজন করে তার নাম জিএসএম এ্যাসোসিয়েশন। প্রথমে এর নাম ছিল গ্রুপ স্পেশাল মোবাইল। ১৯৯৫ সালে জিএসএম এমওইউ নামে আজকের সংগঠনটির জন্ম হয়। এটি প্রধানত ১৯৮৭ সালে মোবাইলের জিএসএম প্রযুক্তির বিকাশে ১২টি দেশের ১৩টি মোবাইল অপারেটরের একটি সমঝোতা চুক্তির ওপর ভিত্তি করে দাঁড়ানো। ১৯৯৫ সালে এর ভিত আরও মজবুত হয়। এখন বিশ্বের ৮০০ মোবাইল অপারেটর এই সংস্থার সদস্য। প্রায় ৩০০ সহযোগী সদস্যও আছে সংস্থাটির যারা মোবাইল অপারেটর নয়। জিএসএমএ পরিচালনা পরিষদে ২৫ জন পরিচালক আছেন। বর্তমান মহাপরিচালক গ্রানরিড। ভারতের ভারতী টেলিকমের সুনীল মিত্তাল ১৭ সাল থেকে ২ বছরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। মোবাইল বিশ্ব কংগ্রেস আয়োজিত হয় বার্সিলোনার ফিরা বার্সিলোনা গ্রান ভিয়াতে। ৮৭ সালে এর প্রথম আসর বসে। ১৯ সালে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯ হাজার। ২০০৬ সাল অবধি এটি ফ্রান্সের কানে থ্রিজিএসএমএ নামে আয়োজিত হতো। ২০১৪ সালে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস সাংহাই নামকরণের মধ্য দিয়ে আজকের নামটির যাত্রা শুরু হয়। মোবাইল বিশ্ব কংগ্রেস মূলত মোবাইল অপারেটরদের বিশ্ব সংগঠন জিএসএমএ আয়োজন করে থাকে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের বিটিআরসির বড় কাজটা সেই মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে। এই খাতে টেলিকম বিভাগের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আছে টেলিটক ও বিটিসিএল। এর সঙ্গে আরও আছে তিনটি বেসরকারী মোবাইল অপারেটর। তাই এটিকে এড়িয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই। বিভাগের মন্ত্রী হিসেবে এমন একটি বিশ্ব সম্মেলনে না যাবার কোন যুক্তি থাকতেও পারে না। কথা ছিল সেই বছর আইটিইউর নির্বাচনও করব আমরা। তার মাঝে আমার জন্য একটি বক্তব্য রাখার স্লটও রাখা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ প্লেন ভ্রমণের জন্য আমি যেতে আগ্রহী ছিলাম না। এমটবের সাবেক মহাসচিব নুরুল কবিরসহ আমার দফতরের সকলে মিলে আমাকে সম্মত করাতে পেরেছিল যে, এতে যোগ দেয়া খুবই প্রয়োজনীয়। এমনকি এটিও বলা হয়েছিল যে, আমি যদি এই বিশ্বসভায় যোগ না দিই তবে রাষ্ট্রীয় ক্ষতি হবে। বিশেষ করে আইটিইউ নামক সংস্থায় বাংলাদেশের যে বিদ্যমান ভূমিকা আছে সেটি ক্ষতির মুখে পড়বে। ভবিষ্যতে এই সংস্থায় নির্বাচন করলে এই যাত্রাটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এখন ১৯ সালে আমি এটি বিশ্বাস করি যে, ২০১৮ সালে মোবাইল বিশ্ব কংগ্রেসে যোগ না দিলে রাষ্ট্রের ক্ষতি না হলেও আমি নিজে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি যে, সেই ভ্রমণটি না করলে এখন আফসোস করতাম। অন্য অর্থে বলা যায়, জ্ঞান নিয়ে এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলি তার পরিবর্তনের একটি বিশাল অংশ ১৮ সালের বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেসে জন্ম নিয়েছে। কার্যত যেসব বিষয় নিয়ে আজকাল কথা বলতে হয় তার নতুন মাত্রা পেয়েছিলাম ১৮ সালে বার্সিলোনায় মোবাইল বিশ্ব কংগ্রেসে যোগ দিয়ে। সেবার সুযোগ হয়েছিল বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার। ঘর ভরা বিশ্বজনদের সামনে ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলে প্রশংসাও পেয়েছিলাম। সেটিও ছিল জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ দূতাবাসের নাভিদের কথা মনে রাখার মতো ছিল। প্রতি মুহূর্তে নাভিদ আমাদের সব সহায়তা দিয়েছে। সুদূর মাদ্রিদ থেকে এসে এতটা সহায়তা করা ব্যতিক্রমী ছিল এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। বার্সিলোনার পুরা অভিজ্ঞতার সঙ্গেই নাভিদ যুক্ত ছিল। বিটিআরসির তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির ফয়সাল এবং এমটবের তৎকালীন মহাসচিব নুরুল কবিরের কথাও মনে রাখতে হবে। অনেক সেমিনারে যোগ দেয়া ছাড়াও ডজন খানেকের বেশি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নানা প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেছি বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার সঙ্গে। জিএসএমএ, ফেসবুক, মোবাইল অপারেটরসমূহ, ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহ ছাড়াও মেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। কাকতালীয়ভাবে সেই মোবাইল কংগ্রেসটি আর দশটি মোবাইল কংগ্রেসের মতো ছিল না। বরং সেইবারই প্রথম সারা দুনিয়াকে বড় ধরনের একটি ঝাঁকুনি দিয়েছিল ৫জি মোবাইল প্রযুক্তি। ১৮ সালে বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেসে যারাই গিয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতাটা আমাদের চাইতে মোটেই ভিন্ন ছিল না। যে স্টলেই আমরা গিয়েছি সেখানেই দেখানো হচ্ছিল ৫জিভিত্তিক প্রযুক্তি। চালকবিহীন গাড়ি, রোবটের উৎপাদন ব্যবস্থা, আইওটিভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তি, ৫জিভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা দেখেই যাচ্ছিলাম। বিষয়টি আমাদের পুরো টিমকে এতটাই মোহিত করে যে, আমরা মনে করি ৫জিতে কোনভাবেই পিছিয়ে থাকতে পারি না। দেশে ফিরে এসে তাই ২৫ জুলাই ১৮ আমরা ৫জি সামিট করেছিলাম। তারই সূত্র ধরে এবার আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ২১-২৩ সালে ৫জি চালু করার ঘোষণা আসে। ঢাকা থেকেই স্থির করা হয়েছিল বার্সিলোনার বিভিন্ন কর্মকা-ের বিস্তারিত কর্মসূচী। যদিও কেবল মিনিস্টারস কনফারেন্সে ১০ মিনিটের একটি কী নোট উপস্থাপনাই আমার নির্ধারিত প্রধান কাজ ছিল তথাপি সরকারী বেসরকারী অনেক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের প্রোগ্রামও ছিল। এসব বৈঠকের অন্যতম কারণ ছিল আমার মন্ত্রণালয় বিষয়ক বহুবিধ সমস্যার সমাধানের উপায় বের করা। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নিরাপদ করা ছাড়াও ৫জি যথাসময়ে প্রচলনের ব্যবস্থা করার বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। চমকানো মন্ত্রিত্ব : বস্তুত, আমার মন্ত্রিত্বটি ছিল আমার নিজের জন্য অপ্রত্যাশিত এক চমক। প্রতি বছরের মতো ১৮ সালের পহেলা জানুয়ারি আমি আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুল গৌরীপুরে ছিলাম। আমার সঙ্গী ছিল বন্ধু জালাল। সকালে শিশুদের সঙ্গে কথা বলে স্কুলের অধ্যক্ষের রুমে বসে আমি ও জালাল মধ্যাহ্ন ভোজ শেষ করছিলাম। আমার খাওয়া তখন শেষ। গৌরীপুরের দই খাওয়াটা কেবল বাকি। তখনই ফোনটা বেজে ওঠে। নাম্বারটা চেনা নয়। তবে জিপির যে সিরিজের নাম্বার সেটি একদম শুরুর দিককার। ফোন করেই তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে আজনালেন যে, তার নাম শফিউল আলম-কেবিনেট সচিব। সরাসরি জানালেন, ২ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বঙ্গভবনে উপস্থিত থেকে আমাকে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে হবে। ফোনটা রেখেই জালালকে খবরটা দিলাম এবং জালালও চমকে উঠল। কিছুক্ষণের মাঝেই তৎকালে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম একান্ত সচিব সাজ্জাদ হোসেন ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করলেন। ভাবনারও সময় ছিল না : ২ জানুয়ারি ১৮ মন্ত্রী হিসেবে শপথ ও ৩ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরই আমার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কয়েকটি। প্রথমত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে ৪জির নিলাম করা এবং দ্বিতীয়ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ উৎক্ষেপণ করা। মন্ত্রিত্ব পাবার দিন থেকেই প্রতিদিন শুনে আসছিলাম যে আমাদের বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট সহসাই উৎক্ষেপণ করা হবে। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে যার মূল্যায়ন হয়তো অনেক পরে করতে হবে। তবে এটি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে টেলিকম খাতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত সরকারী সংস্থাগুলোর সঙ্কট মোকাবেলা করা পাহাড়সম উঁচু মনে হতে শুরু করে। বিভাগের সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, বিটিআরসি এবং কেবল শিল্প সংস্থা হয় সরকারের জন্য রাজস্ব আয় করে নয়তো বা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিটিআরসি ও সাবমেরিন কেবল কোম্পানির অবস্থান এমন দৃঢ় যে- তাদের রাজস্ব আদায় কোন চ্যােেলঞ্জের মুখে পড়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই বলা যায়। তবে কেবল শিল্প সংস্থাকে ধন্যবাদ যে তারা নিজেরা কেবল উৎপাদন করে কেবল বৈদেশিক মুদ্রাই বাঁচায় না, উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে মুনাফা করে। বিটিআরসির রাজস্ব নিয়ে ভাবনা না থাকলেও মনে রাখতে হয়, দেশের টেলিকম খাত নিয়ন্ত্রণ করে সংস্থাটি। ফলে এই প্রতিষ্ঠানটির স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নীতিমালা প্রণয়নসহ বিধিবিধান স্থির করা অতি আবশ্যকীয় বিষয় হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। ডাক বিভাগের বা বিটিসিএলের দুর্বলতার পাশাপাশি টেলিটক বা টেলিফোন শিল্প সংস্থার ঘুরে দাঁড়ানো বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ। প্রযুক্তিগত কারণে ডাক বিভাগের উঠে দাঁড়ানো একেবারে ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়। বিটিসিএল যার ওপর ব্যবসা করত সেই ফিক্সড ফোন তো জাদুঘরে বিদায় নেবার পথে। ফলে এদের ঘুরে দাঁড়ানো আমাদের জন্য প্রচন্ড চ্যালেঞ্জিং। এর বাইরে তখন আমার দায়িত্বে থাকা তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কথা এখন আলোচনায় নাইবা আনলাম। ঢাকা, ২৯ জুলাই ১৮, সর্বশেষ আপডেট ২০ জুলাই ১৯। লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক
×