ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কটিয়াদীতে বাসে কলেজছাত্রীদের হয়রানি ॥ মারধর

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২২ জুলাই ২০১৯

কটিয়াদীতে বাসে কলেজছাত্রীদের  হয়রানি ॥ মারধর

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২১ জুলাই ॥ কটিয়াদী সরকারী কলেজ ও ডাঃ আবদুল মান্নান মহিলা কলেজের ছাত্রীদের মারধর ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বাসের হেলপার এবং চালকের বিরুদ্ধে। আহত ছাত্রী সানিয়া আক্তার, সুমিত্রা, সায়মা খাতুন ও সোনিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। জানা যায়, রবিবার সকালে কটিয়াদী সরকারী কলেজ এবং ডাঃ আবদুল মান্নান মহিলা কলেজের কয়েক ছাত্রী পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কলেজে আসার জন্য অনন্যা সুপার পরিবহনে ওঠে। তারা কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে নামতে চাইলে বাসের হেলপার তাদের না নামিয়ে ড্রাইভারকে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যেতে বলে। ড্রাইভার দ্রুত গাড়ি চালিয়ে ছাত্রীদের কিশোরগঞ্জ নিয়ে যেতে থাকলে হেলপার এবং ড্রাইভারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় হেলপার ছাত্রীদের চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারে। চলন্ত বাসে তাদের টানাহেঁচড়া করলে ছাত্রীরা আহত হয়। ছাত্রীদের কেউ কেউ তাৎক্ষণিক বিষয়টি মোবাইল ফোনে দুই কলেজের অধ্যক্ষকে জানালে তারা প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগিতা চান। পরে কটিয়াদী থানার ওসি বিষয়টি অবগত হয়ে পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রীদের ফিরিয়ে এনে যার যার কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট বুঝিয়ে দেন। ডাঃ আবদুল মান্নান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শামীমা সুলতানা বলেন, পড়াশোনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছাত্রীরা কষ্ট করে আসে। পরিবহন মালিক-শ্রমিক একটু মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে যদি না দেখে, ছাত্রীদের যাতায়াতে একটু সহযোগিতা না করে তাহলে ছাত্রীদের পড়ালেখা বাধাগ্রস্ত হবে। কটিয়াদী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ সবিতা রানী দেবী বলেন, এক সপ্তাহ আগেও কলেজের ছাত্রদের পরিবহন শ্রমিক মারধর করে। পরে মালিকপক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করলেও আবারও ছাত্রীদের ভয়ভীতি দেখায় এবং কটিয়াদীতে তাদের না নামিয়ে কিশোরগঞ্জ নিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় এমপি নূর মোহাম্মদকেও জানানো হয়েছে। কটিয়াদী থানার ওসি আবু শামা মোঃ ইকবাল হায়াত বলেন, খবর পেয়ে দ্রুতই পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রীদের উদ্ধার করি এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের পৌঁছে দেই। এক সপ্তাহ পূর্বেও ছাত্রদের সঙ্গে বিবাদের ঘটনা ঘটে। পরিবহন মালিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি আপোস করা হয়। তারা এক গাড়িতে পাঁচ ছাত্রছাত্রীর বেশি না উঠার পরামর্শ দিলেও ছাত্রছাত্রীরা তা মানতে চায় না।
×